নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী গার্লস হোস্টেল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত খুলনা বিভাগের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী ইন্দ্রজিৎ সাগর। (৬ ডিসেম্বর) সকালে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী গার্লস হোস্টেল পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ কমিটির ছাত্রলীগের সভাপতি ও অর্নাস ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন শরিফ। বক্তব্যে হোষ্টেল সুপারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ এনে বক্তব্য রাখেন তিনি। সুস্পষ্ট ভাষায় হোষ্টেল সুপার কেয়া রেনু রায়ের অবৈধ হোষ্টেল বানিজ্য, নিয়মিত হোষ্টেলে না থেকে ডিউটিকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ানো, হোষ্টেলের বিদ্যুৎ সরন্জামাদি মেরামত না করা, বিনোদন কেন্দ্র সঠিক ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত ছাত্রী রেখে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, ৪৮ আসন বিশিষ্ট হোস্টেলে ৯৬ জন ভর্তি করে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা গ্রহন করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার বিষয় তুলে ধরেন। শারমিনের এই বক্তব্য দূর্নীতির বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় লজ্জায় অনেকটা মাথা নিচু করে থাকেন হোস্টেল সুপার কেয়া রেনু রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজর অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম। সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন খান, সহকারী অধ্যাপক (অর্থনীতি) বাবু আনন্দ মোহন বিশ্বাস ছাত্রলীগের নেত্রী শারমীন শরীফ, সভা পরিচালনা করেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী গার্লস হোস্টেলের সুপার কেয়া রেনু রায়। আলোচনা শেষে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ করতে যান অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম শান্তনা মূলক বক্তব্য রেখে তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে নড়াইলের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী গার্লস হোষ্টেলের সুপার কেয়া রেনু রায় বলেন, এসব পরিচালনা করার কমিটি রয়েছে। আমাকে একা দোষারোপ করা যাবে না।
Leave a Reply