সানজিম মিয়া - গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি,
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের দেওয়া প্রণোদনার বিনামূল্যের উন্নতমানের সার ও বীজের লোভ সামলাতে পারলেন না ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
২৪ ডিসেম্বর শনিবার গংগাচড়া উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে নীতিমালা তোয়াক্কা না-করে হরিলুটের অবস্থা।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সুপারিশে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা একজনেই জমা দিচ্ছে ১০ থেকে ১৫ জনের নামের তালিকা।
উপজেলার নোহালী ইউনিয়ন পরিষদে কোনও পদ-পদবী না থাকলেও চেয়ারম্যানের ভাগিনা আসাদ আলী উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ আলমের কাছে জমা দিয়েছেন ২৫ জনের নামের তালিকা। তালিকা মোতাবেক উত্তোলনও করেছেন সার ও ধানের বীজ। নীতিমালা মোতাবেক উক্ত সুবিধাভোগীদের প্রদর্শনী প্লট সাজানোর কথা থাকলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা সন্দেহ!
উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলার প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান চল্লিশটি এবং প্রতিটি মেম্বার পাঁচটি করে প্রণোদনার নাম ভাগ বসিয়েছে। তাদের মনোনীত কৃষকের তথ্য জমা দিয়েছেন তারা। একাধিক ব্যক্তির নামে সার ও বীজ উত্তোলন করে বিক্রি করছেন।
প্রণোদনা বাস্তবায়নে নির্ধারিত নীতিমালা তোয়াক্কা না করে প্রতিবছর এভাবেই হরিলুটের ফলে একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি প্রতি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারি পরিকল্পনা ও হুমকির মুখে পড়ছে।এমনকি উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে প্রভাবিত হয়ে তালিকায় নাম বসিয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
উপসহকারী কৃষি অফিসার আক্তারুজ্জামান রনি কৃষকের অনুপস্থিতিতে সার বিতরণের কথাটি অস্বীকার করেন। উপসহকারী কৃষি অফিসাররা ওস্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যাচাই-বাছাইয়ের পর যাদের মনোনীত করেছে আমরা তাদেরকেই এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা -র মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাক্ষাৎকার নেয়া সম্ভব হয়নি।