স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মামুলি। কিন্তু মিরপুরের উইকেটে ওই ১৪৫ রানই কঠিন হয়ে উঠেছিল। তৃতীয় দিন শেষ বেলায় রান তাড়ায় নামা ভারতের ৩৭ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালে আরও তিন ধাক্কা দেন মিরাজ-সাকিব। ৭৪ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় ভারত। তবে শ্রেয়াস আয়ার ও রবিশচন্দন অশ্বিন হতাশ করেছে দলকে। একটা ক্যাচ মিসের ভূমিকাও আছে। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।
লক্ষ্য নাগালে পেলেও তৃতীয় দিন ব্যাটে নেমেই বিপদে পড়ে ভারত। সাকিব প্রথম ওভারেই দুই সুযোগ তৈরি করেন। ওই ফাঁড়া কাটলেও সাকিবের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতে পারেননি কেএল রাহুল (২)। এরপর মেহেদি মিরাজের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরে যান তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা (৬), ওপেনার শুভমন গিল (৭) এবং পাঁচে নামা বিরাট কোহলি (১)।
শেষ বেলায় নাইটওয়াচম্যান অক্ষর প্যাটেল এবং জয়দেব উনাদকাট পাড়ি দেন। বাঁ-হাতি পেসার উদানকাট সকালে ১৩ রানে ফিরে যান। এরপর ঋষভ পান্তকে লেগ বিফোর করেন মিরাজ। পান্ত করেন ৯ রান। ভরসা দেওয়া অক্ষরকেও তুলে নেন মিরাজ। তাকে ৩৪ রানে বোল্ড করেন পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ডানহাতি এই স্পিন অলরাউন্ডার। ওই ফাঁড়া কাটিয়ে আয়ার ও অশ্বিন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। অশ্বিন করেন ৬২ বলে ৪২ রান। উইকেট ধরে রাখা আয়ার ২৯ রান করেন।
এর আগে ঢাকা টেস্টে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মুমিনুল হক। শান্ত, জাকির, মুশফিক ও লিটনরা সেট হয়ে ফিরে যান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রান তোলে ভারত। ওই ইনিংসেও ৯৪ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। তবে ঋষভ পান্ত ৯৩ ও শ্রেয়াস আয়ার ৮৭ রান করে ধাক্কা সামাল দেন। ৮৭ রানের লিড নেয় নেয় দলটি।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ২৩১ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া জাকির হোসেন ঢাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন। লিটন দাস ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া নুরুল হাসান ও তাসকিন ৩১ করে রান যোগ করেন।
ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে চারটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও রবিশচন্দন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে অক্ষর প্যাটেল তিনটি এবং সিরাজ ও অশ্বিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ও তাইজুল নেন চারটি করে উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ পাঁচটি এবং সাকিব দুই উইকেট নিয়েছেন।
Leave a Reply