মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিনোদন কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর ও গেইট নেই । ফলে কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার পাশাপাশি চরম বিপাকে পরতে হচ্ছে কেন্দ্রের ইজারাদারকে।
জানা গেছে, গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর ঝিনাইগাতী উপজেলা ।
আর এ সৌন্দর্যকে ঘিরে ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রাকৃতি প্রেমি জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার প্রায় ৫০ একর পাহাড়ি জমির উপর গড়ে তুলেন একটি পিকনিক স্পর্ট।
মৌজার নামানুসারে এর নামকরন করা হয় গজনী অবকাশ কেন্দ্র। কেন্দ্রটি গড়ে তোলার পর থেকে দর্শনার্থীদের ঢলনামে এ কেন্দ্রে।
সারাদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের পদভাড়ে মুখরিত হয়ে উঠে গজনী বিনোদন কেন্দ্রটি।
আগত দর্শনার্থীদের কাছ টোল আদায়ের লক্ষে,উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে রাস্তার পাশে একটি টোল আদায় ঘর নির্মাণ করা হয়। এ ঘরে বসে গত প্রায় ২ যুগ ধরে ভ্রমনপিপাষুদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছিলো উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, চার দিক থেকে রাস্তা- ঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনের টোল আদায় ঘরটি অকার্যকর হয়ে পরে। এছাড়া গত কয়েকবছর ধরে অবকাশ কেন্দ্রটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এ অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রতিবছর সরকারের ঘরে আসে অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব।
কিন্তু অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ প্রথে আজো নির্মিত হয়নি টোল আদায় ঘর ও গেইট। ফলে ইজারাদারের লোকদের টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নানা জটিলা, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তিতে পড়ছে হচ্ছে।
গজনী অবকাশ কেন্দ্রের ইজারাদার মোঃ ফরিদ আহম্মেদ বলেন,গজনী অবকাশ কেন্দ্রের প্রবেশ পথে টোল আদায় ঘর ও গেইট নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পরেছে। অন্যথায় লোকসানে পড়তে হবে তাদের।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা প্রশাসক,সাহেলা আক্তার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এটা সরকারী কাজ এজন্য হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে। এ ব্যাপারে অচিরেই কোনও একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
সংবাদদাতা, মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো,
শেরপুর প্রতিনিধি,
Leave a Reply