রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রোববার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ের মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে এ প্রতিকৃতি উদ্বোধন করবেন।
‘মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে প্রতিকৃতিটি নির্মাণ করা হয়। ম্যুরাল মাধ্যমে তৈরি করা বঙ্গবন্ধুর এ প্রতিকৃতি ইতিমধ্যে জনসাধারণের জন্য ফুটে উঠেছে।
রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, এই ম্যুরাল প্রতিকৃতিটি দেশে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। ৫৮ ফুট উচ্চতার এ প্রতিকৃতিটির মূল অংশে বঙ্গবন্ধুর ছবিটির উচ্চতা ৫০ ফুট ও দৈর্ঘ্যে ৪০ ফুট। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন আমিরুল ইসলাম। ল্যান্ডস্কেপিং কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্থপতি আবির রহমান।
তিনি বলেন, এটির ফাউন্ডেশনে ২২টি পাইলিং করা হয়েছে। বাউন্ডারি ওয়ালের দুই ধারে ৭০০ বর্গফুট টেরাকোটার কাজ করা হয়েছে। একপাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের লোকজ সংস্কৃতির নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, অপরদিকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। গ্যালারি ল্যান্ডস্কেপিংয়ে উন্নত গ্রানাইট দিয়ে সজ্জিত করা। উদ্বোধন শেষে সুসজ্জিত বৈদ্যুতিক বাল্ব দিয়ে নাইট ভিশন করা হবে।
রাসিকের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার পরাগ সময় সংবাদকে বলেন, আমি শুরু থেকে এই ম্যুরাল প্রতিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। দীর্ঘদিন কাজ করার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন, যা কিনা আমার জন্য অনেক গর্বের একটি বিষয়। এমন একটি শিল্প-নিদর্শনে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। কেননা, রাজশাহীতে আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যার সাথে আমি যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এই উন্নয়ন প্রকল্পটি ভিন্ন৷ এটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে, তখন আমার বেশ গর্ব হয়। আনন্দে বুক ভরে ওঠে।
এ বিষয়ে রাজশাহীর চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক নুরুল মোসাদ্দের রাজশাহীতে এমন একটি ম্যুরাল প্রতিকৃতি নিমার্ণ হয়েছে যা সত্যিই চমৎকার। এটি রাজশাহীর গর্ব। এমনকি বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটি রাজশাহীবাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।
এর আগে দেশে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি ছিল চট্টগ্রামে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিকৃতিটির উদ্বোধন করেছিলেন। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭ ফুট উচুঁ এবং ৩৩ ফুট প্রস্থের বিশাল ক্যানভাসে ওই প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়েছিল।