নিউজ ডেস্ক :
খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করার পর সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব মণ্ডলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত নীরব মণ্ডল ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মণ্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একই স্কুলের ৫ ছাত্রকে আটক করেছে। ভারতের ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে তারা মুক্তিপণের দাবিতে এই অপহরণের পরিকল্পনা করে।
আটক ৫ জন হচ্ছে- গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সোহেল, হীরক রায় ও পিটু মণ্ডল, দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র দ্বীপ মণ্ডল। এর মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
ডুমুরিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া জানান, নীরব মণ্ডল গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর স্কুল থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র পিয়াল রায় তাকে ডেকে স্কুলের পেছনের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে তার বাবা শেখর মণ্ডলকে ফোন করে নবম শ্রেণির ছাত্র সোহেল মুক্তিপণের জন্য ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। তখন সোহেলের সঙ্গে তার বাবার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর বিষয়টি নীরবের বাবা তাৎক্ষণিকভাবে ডুমুরিয়া থানার ওসিকে জানান।
পরে দুপুর তিনটার দিকে ওই ৫ জন গলা ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে নীরব মণ্ডলকে হত্যা করে। এরপর দড়ি দিয়ে ঘরের সিলিং এর সঙ্গে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্রাকিং করে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে সোহেলকে আটক করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ১টার দিকে পরিত্যক্ত ওই বাড়ি থেকে নীরব মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি জানান, তারা ক্রাইম পেট্রোল দেখে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী তারা নীরব মণ্ডলকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে তার বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং আটক ৫ জনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।