মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের শ্রীবরদীতে শীত অপেক্ষা করেই বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণীরা।উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হবে জানা যায়।
উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের কৃষক মো.আব্দুল সাত্তার বলেন।আমরা শীতের মধ্যেই বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করতেছি।কারণ প্রচন্ড ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছে বোরো ধানের চারা গুলো।কিছু কিছু ধানের চারা মারাও যাচ্ছে।তবে এখন একটু শীত কমে যাওয়ার কারণে বোরো ধানের চারা রোপণ করতেছি।
খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের কৃষক মো.আঃ কুদ্দুছ মিয়া বলেন,আমন ধান কাটার পরেই আমরা বোরো ধানের বীজতলা সংরক্ষণের জন্য বীজ রোপন করে থাকেন তারা।চারা বড় হতে না হতেই শীত মৌসুম এসে পড়ে।একদিকে ঘনকুয়াশা অন্য দিকে প্রচন্ড ঠান্ডা।এতে করে ধানের চারা গুলো মরিচিকার মতো হলুদ রং ধারণ করে মারা যায়।তবে সামনের মৌসুমে বীজতলা আগেই সংরক্ষণ করবে বলে জানান তিনি।কৃষক কুদ্দুস এবার ৩ একর জমির জন্য বোরো ধানের চারা রোপণ করেছিলেন।কিন্তু ঘনকুয়াশার কারণে কিছু বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেন তিনি।যার কারণে ২ একর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন এবং একএকর জমির জন্য চারা সংগ্রহ করতে হবে বলেন এতে করে তার বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
দিনমুজুর শাজাহান মিয়া বলেন,কাজের জন্য তাদেরকে শহরে যেতে হয়না।গ্রামেই কাজের অভাব নেই।দিন গেলেই ৬০০ টাকা, ১ কেজি চাউল,এক বেলা খাওয়া পাচ্ছি। এখন ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করমু।পরে আমাদের দিকে কাজ শেষ হলে অন্য জায়গায় গিয়ে কাজ করমু।বোরো মৌসুমে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা কামাই করমু।
অন্যদিকে দিনমজুর রাজমিস্ত্রী শাহীন মিয়া বলেন,আমি কাজের জন্য ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে কাজ করি।দিন শেষে ৪০০ টাকা পাই।গাড়ি বাড়া খাওয়া দাওয়া নিয়ে ২০০ টাকা থাকে।তবে এখন আর কিছু দিন শহরে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হবেনা।কৃষকদের বোরো ধানের জমি চুক্তি লাগাই।এতে দিনে ১০০০ টাকারও বেশি পরে। বেশ কিছুদিন পর- না হয় শহরে কাজের উদ্দেশ্যে যাবো।
শ্রীবরদী উপজেলার উপসহকারী উদ্ভিদ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান,তীব্র শীত অপেক্ষা করেই বোরো ধানের চারা রোপণ মাঠ পর্যায়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।চলতি বছরে উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হবে।ইতোমধ্যেই চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক কৃষাণী ও শ্রমিকরা।কোথাও কোথাও চলছে জমি প্রস্তুতকরণ।কোথাও চলছে চারা রোপণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।কৃষকেরা ট্রাক্টর,গরু,মহিষ, দিয়ে জমি প্রস্তুতের কাজ শুর করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপজেলার সকল ইউনিয়নে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি।মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজনও কাজ করছে।প্রয়োজনীয় সার ও কিটনাশক সরবরাহেও কোন সমস্যা হবেনা বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
সংবাদদাতা, মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো,
শেরপুর প্রতিনিধি,