পিরোজপুর প্রতিনিধি:-
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সংসার চলার মতো একমাত্র সম্বল ফসলি জমি সহ সুপারি গাছ, ক্ষতি করলো দূর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইন্দুরকানী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে হাওলাদার বাড়ি এ ঘটনা ঘটে । পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মৃত নাদের আলীর ছেলে মো: শামিম হাওলাদার মহাশিন (১৭) লেখাপড়ার পাশাপাশি দুটি ফসলি জমিতে কৃষি দিয়ে সংসার চালান। ফসলি জমির পাশেই রয়েছে খাল সেই খালে জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন। সেই জালটিকেও নষ্ট করেছে দূর্বৃত্তরা। দুটি ফসলি জমিতে ৩০টি লাউ গাছ, ৪০টি টমেটো গাছ, ১০০টি বেগুন গাছ, ২০০টি পুইশাক গাছ, ১৫০টি মরিচ গাছ, ৪/৫ শত সুপারি গাছের চাড়া, ২৫ টি পেপে গাছ, ৮০ টি ছিমি গাছ, পালন শাক, লালা শাক, ধুনিয়া শাকের গাছসহ মাছ ধরার জাল ও নেট জাল নষ্ট করে।মহাশিন টগড়া কামিল মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষে পরিক্ষা দিয়েছেন। তার পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধ মা ও দুই বোন তারাও ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী শামিম হাওলাদার (মহাশিন) বলেন, আমার পিতা ৪/৫ বছর আগে মারা গেছেন। তারপর থেকে আমি কৃষি দিয়ে সংসার ও লেখাপড়ার খরচ বহন করি। আমার সেই কৃষি ক্ষেতের সব ফসল বৃহস্পতিবার রাতে চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর ও নাসিরসহ ৩/৪ জন মিলে নষ্ট করেছে। তারা আমাদের জমি জোরকরে দখল করতে চায় এজন্য কিছুদিন আগেও আমি কৃষি কাজ করার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে এবং এর আগে দুইবার দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। সেই সাথে উল্টো ৬/৭ টা মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমাদের পরিবারের ওপর। এ ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে আমাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং পরে অভিযোগ গ্রহণ করেনি । এবিষয়ে অভিযুক্তদের বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এ ঘটনা জানার পর গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন ফসল নষ্ট করা হয়েছে। তাদের দুপক্ষের জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। চেয়ারম্যান ও প্রভাবসালী লোকদের নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এ সমাধান অপর পক্ষ মানেনি। এর আগেও মহাশিন ছেলেটার ওপর ৩/৪ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইন্দুরকানী থানা ওসি এনামুল হক জানান, আমি এ বিষয় কোন অভিযোগ পায়নি । তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো ।
পিরোজপুর সংবাদদাতা:-