নড়াইল প্রতিনিধিঃ
ভূয়া ডি এম এফ লাইসেন্সের দোহায় দিয়ে আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় আরোগ্য নিকেতন নাম দিয়ে বছরের পর বছর সাধারন রুগীদের সাথে চিকিৎসা দেওয়ার নামে প্রতারনা করে যাচ্ছেন মহাদেব দাস।এম বি বি এস ডিগ্রী ছাড়া প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঔষধ দেওয়া, জটিল সমস্যার জন্য রুগীকে ডায়োগনষ্টিক সেন্টারে পাঠানো এবং প্রাপ্ত রিপোর্ট দেখা এবং সে অনুযায়ী রুগীকে ব্যবস্থা পত্র দেয়া একজন পল্লি চিকিৎসকের জন্য সরকারি নিতীমালা বা আইন বহির্ভূত হলেও এই অপকর্মগুলো বাধাহীন ভাবে করে যাচ্ছেন মহাদেব দাস।
তদন্তে সরোজমিনে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের সামনে কথিত আরোগ্য নিকেতন চেম্বারে গিয়ে মহাদেব দাসের কাছে জানত চাইলে, তিনি নিজেকে প্রাথমিক চিকিৎসক বলে দাবী করেন, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি রুগীদের দেশের স্বনামধন্য ডাক্তারদের কাছে পাঠিয়ে দেন, অথচ তার কম্পিউটার কম্পোজ করা প্রেশক্রিপশন বলে ভিন্ন কথা। সাবানা বেগম(৩৫) নামের একরুগীকে তিনি ৫ ই জানুয়ারী ২০২২ইং থেকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সাবানা বেগম জানান, তার ঘাড়ে ব্যথা, ডাক্তার সাহেবের কাছে আসলে ঔষধ দেন। কয়েকদিন ভাল থাকি। আবার নতুন কোন সমস্যা দেখা দেয়।আবার আসতে হয়।
তিনি কি বিশেষজ্ঞ এবং কে এখানে পাঠিয়েছে আপনাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে পারেন নি।
ভূয়া ডাক্তার মহাদেবকে নিয়ে ধারাবাহীক ভাবে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কার্যত নড়াইলের স্বাস্থ বিভাগ নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
সম্প্রতি নড়াইল সিভিল সার্জনের কাছে অপচিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরায় বক্তব্য দিতে রাজি হননি।তবে ভূয়া ডাক্তারদের তালিকা তৈরি করে ডিসি মহোদয়কে দিয়েছেন বলে দায়সারা বক্তব্য দেন ।অথচ এই অপচিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সিভিল সার্জন অফিসের।
এ বিষয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,অপচিকিৎসকদের তালিকায় মহাদেব দাস এক নম্বরে রয়েছে। আমরা তাকে কিছুদিন আগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জড়িমানা করেছি। সে যদি আবার এসব শুরু করে থাকে তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
পল্লিচিকিৎসক বা ডি এম এফ লাইসেন্সধারীরা গ্রামে ঔষধের দোকান দিয়ে ঠান্ডা, সর্দিকাশি, জ্বর, প্রেশার, ডায়াবেটিস মাপারমত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
অথচ ভূয়া ডাক্তার মহাদেব দাস গ্রামে নয় শহরের প্রাণকেন্দ্র আধুনিক নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে বসেই সর্ব রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন ।
আর তার কম্পিউটার কম্পোজকৃত প্রেসক্রিপশনে ডি এম এফ লাইসেন্সের কোন রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই।
গোপন সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মহাদেব দাস চালিয়ে যাচ্ছেন তার অপচিকিৎসা।
মহাদেব দাসের অনুমোদনহীন আরোগ্য নিকেতন
বন্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।