মোঃ মিলন মোল্লা, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
পদ্মার ভয়ানক রূপ যেমন মানুষকে কাঁদায় তেমনি এর বিশালতা মানুষকে মুগ্ধও করে। সেই মুগ্ধতায় মানুষ বারবার ফিরে আসে পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নিয়মিত ভিড় করেন পদ্মা পাড়ে। তাদের সুবিধার্থেই এবার পদ্মা পাড়কে সাজানো হয়েছে কক্সবাজারের রূপে।
যদিও এসব তৈরি করা মোটেও সহজ ছিলো না। নদীতে চড় পড়ার কারনে সাজানো সহজ হয়েছে। নদীতে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট, আশেপাশে বসেছে চটপটি-ফুসকাসহ বিভিন্ন দোকান।
এজন্য ঢাকা থেকে অনেকেই এখন ছুটছেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চণপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর নামক গ্রামে।
বর্তমানে সেখানে আছে ভাসমান রেস্টুরেন্ট এবং কক্সবাজারের ফিল নেওয়ার মতো করে সাজানো পদ্মা পাড়।
এখানে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশের সারি সারি গাছ। একইসঙ্গে খাল-বিল ও নদীর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। নদীর তীরে বসেই আপনি নদীর বিস্ময়কর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
পদ্মা পাড়ের এই স্থানে কেউ তার পরিবার নিয়ে আসছেন কেউবা আসছেন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। আবার অনেকেই ছবি তুলছে কেউ কেউ আসেন সূর্য ডোবা দেখতে।
রফিক নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি এলাকার স্থানীয় কিন্তু আমি ঢাকায় চাকরি করি এলাকায় এমন সুন্দর চর পরায় এবং বিনোদন কেন্দ্র হয়ে ওঠার কারণে আমি প্রতি সপ্তাহেই বাড়িতে আসি।
ঘুরতে আসা অন্য এক ব্যক্তি জানান, আমি বানিয়াজুরী থেকে এসেছি, জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর। ময়মনসিংহ থেকে আসা এক ব্যক্তি জানান, এখানে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসেছি সেখান থেকেই এখানে আসা, এসে খুব ভালো লাগছে।
একদিনেই ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেই যেতে পারেন পদ্মা পাড়ের মিনি কক্সবাজারে।
সবচেয়ে দারূণ বিষয়টি হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ নামাজের স্থান।
ঢাকার গাবতলি থেকে মানিকগঞ্জের ঝিটকার বাস পেয়ে যাবেন। ঝিটকা থেকে খুব সহজেই কাঞ্চণপুরের কুশিয়ারচর পৌঁছাতে পারবেন।