তাসলিমা আক্তার,
বেরোবি প্রতিনিধি:
“বই হল বিশেষ দর্পন যাতে আমরা নিজেকে যেমন খুঁজে পাই, তেমনি আমাদের চারপাশে থাকা মানুষ ও পরিবেশকেও দেখতে পাই।“- কিশোর মজুমদার।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় দিনব্যাপী চলমান থাকবে বই মেলা।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ ফিতা কেটে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গুনগুন এবং রণন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই বইমেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থাসহ ৩২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। ছয় দিনব্যাপী এই বইমেলা (১২-১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন মেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কলা অনুষদের ডিন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রণনের সভাপতি অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, বইমেলার এই আয়োজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাডেমিক বইয়ের বাইরে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান ও সাহিত্য পাঠে উদ্বুদ্ধ করবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে বইপড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখারও আহবান জানান উপাচার্য।
গুনগুনের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এই বছর বই আয়োজন করার সুযোগ পেয়েছি, এর মাধ্যমে লেখক এবং পাঠকের মধ্যে মিলন মেলায় পরিণত হবে বেরোবি ক্যাম্পাস। বই ও লেখক এর সঙ্গে রংপুর এলাকার মানুষের নতুন একটা সময় কাটবে বলে আশা করি। বই মেলাটি উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মতিউর রহমান ও বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ।
একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গুনগুনের সভাপতি উমর ফারুকের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী ও রবীন্দ্র গবেষক ড. শ্বাশত ভট্টাচার্য, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. নুরুজ্জামান খান এবং শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. আশানুজ্জামান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম এবং গুনগুনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আফিফা ইশরত চেতনা শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন।
Leave a Reply