মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতাঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বাফার গোডাউন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম - অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এঅভিযোগ বাফার গোডাউনের লোডিং ঠিকাদার মাজেদা ট্রেডার্সের মনোনিত প্রতিনিধি হাসানুজ্জামানের। প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত ট্রাক সার বাফার গোডাউনে আনা হয়। গোডাউনের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ট্রাক ভর্তি সার আনলোড না করে দিনের পর দিন দ্বার করিয়ে রাখেন।
গোডাউনের সামনে হাইওয়ে রাস্তায় দিনের পর দিন সার ভর্তি ট্রাকের দীর্ঘ লাইনে যানজটের সৃষ্ঠি হয়। এ সময় দুর্ভোগের সীমা থাকে না পথচারী ও ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারদের। ঘুষ ছাড়া ট্রাক থেকে সার আনলোড করা হয় না। টাকা বেশি দিলে পিছনে থাকা ট্রাক আগে আনলোড করা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী সার কারখানা থেকে গোডাউনে আসার পর ডিলারদের কাছে বিতরন করার কথা। কিন্তু রাস্তায় ডিলারদের গোডাউনে সার সরবরাহ করা হয়। গোডাউনের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কাগজে কলমে গুদামজাত দেখিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে সার কারখানা থেকেই সরাসরি রাস্তায় ডিলারদের গোডাউনে পৌঁছে দেন।
প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান বলেন নিয়মানুযায়ী লেবার বিলসহ অন্যান্য লেনদেন মাজেদা ট্রেডার্সের প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু গোডাউনের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কখনো নিজে আবার কখনো তার গঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করে থাকেন। ২০২১/ ২২ অর্থবছরের লোড আনলোডের বিষয়ে হিসাব জানতে চাইলেও গোডাউনের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম কিছুই জানান না বলে অভিযোগ করেছেন হাসানুজ্জামান ।
ওই কর্মকর্তার এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদতো দুরের কথা কেউ মুখ পর্যন্ত খুলতে সাহস পায় না । আবার কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে ওই কর্মকর্তা ও তার সিন্ডিকেটের দ্বারা তাকে হতে হচ্ছে চরমভাবে লাঞ্ছিত।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদার হাসানুজ্জামান ১২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে বাফার গোডাউনের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা হিসেবে দারি করে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের কিছু বলতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।