নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী অভিবাবকেরা।
জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে গণিতের শিক্ষক না হয়ে ও রুটিনে গণিত ক্লাস ও অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে কর্মাসের শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের বিরুদ্ধে।
কোচিং বাণিজ্য করতে প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে গণিত বিষয়ের শিক্ষক না হয়েও ক্লাস রুটিনে তিনি গণিতের শিক্ষক।
আর শ্রেণি কক্ষে ছাত্রদের না পড়িয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের নামে স্কুলের বাইরে খুলে বসেছেন কোচিং সেন্টার।
নতুন শিক্ষাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে কোন লিখিত পরীক্ষা থাকছে না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে শ্রেণি কক্ষে অথাৎ শিক্ষকের হাতে পাঁশ ফেল।
ফলে স্থানীয় প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ শিক্ষক মঞ্জুর হোসেনের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে ১৫ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল মাঠের উত্তরপার্শ্বে টিনের ঘরে দেখা যায় নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মাসের শিক্ষক মোঃ মঞ্জুর হোসেন নিজ স্কুলের ছাত্রদের কোচিং করাচ্ছেন প্রতি মাসে ১২০০ টাকার বিনিময়ে।নিজের স্কুলের ছাত্রদের কোচিং ,প্রাইভেট পড়ানো নির্ষিদ্ধ তাহলে কিভাবে কোচিং করাচ্ছেন জানতে চাইলে শিক্ষক মঞ্জুর হোসেন বলেন,জেলা প্রশাসক তাকে অনুমতি দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নাম প্রকাশ না করে বলেন,মঞ্জুর হোসেনের বাড়ি শহরের ভওয়ালী এলাকায় তিনি সব সময় রাজনীতির গরমে চলেন।প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে জোর করে কোচিং বাণিজ্য করতে রুটিনে গণিতের ক্লাস নিয়েছেন।এ ছাড়া প্রতি শিফটে ৩ জন গনিত শিক্ষকের পদ রয়েছে। মঞ্জুর হোসেন প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে প্রভাতী শিফটে ২জন গণিত শিক্ষক ও দিবা শিফটে ৪জন গণিত শিক্ষক রেখেছেন।প্রভাতী শিফটে ২জন গণিত শিক্ষক ও মঞ্জুর হোসেন গণিত ক্লাস নিয়ে কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করে অভিবাবকেরা জানান,এমনিতেই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া যায় না। এবার নতুন শিক্ষাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরই হবে শ্রেণি কক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে অথাৎ শিক্ষকের হাতে পাঁশ ফেল।
দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি।
এ বিষয়ে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে,তিনি বলেন,আমি কাউকে প্রাইভেট,কোচিং করানোর অনুমতি দেয়নি। যে শিক্ষক কোচিং, প্রাইভেট পড়াই সেটা তার দায়িত্ব।শিফট ভিত্তিক শিক্ষক আর রুটিন আমি আসার আগেই করা হয়েছে।
নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক থাকতে অন্য শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানোটা অনিয়ম এ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।