নিউজ ডেস্কঃ
পাবনা সদর উপজেলাধীন টেবুনিয়া ওয়াসিম পাঠশালার প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক(৪০)কে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ২৩ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ঘটনার দিন দুপুরে বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে এলাকার ৯/১০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মাঠে প্রবেশ করে। তারা টেবিল-চেয়ার,পুরস্কার ভাংচুর ও মাইকের তার ছিড়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করার চেষ্টা করে। এ সময় আমিসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও উপস্থিত লোকজন বাধা দিলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। যাওয়ার সময় আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে যায়।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার সময় টেবুনিয়া বাজারে সাবেক চেয়ারম্যান উম্মত আলীর মার্কেটের সামনে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী, ওমর আলী, মনা, মহর, জহুরুল, সাইফুল, রানা ও রেজাউল হকিস্টিক জিআইপাইপ রড ও হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। হাসুয়া দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়ার ফলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। এমতাবস্থাতেই তারা রড ও জিআইপাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে আমার হাত,পা,বুক ও পিঠে আঘাত করতে থাকে। আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আজিজুল জানান, আহত অবস্থায় আমরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিলে অবস্থা খারাপ দেখে ঐ ডাক্তার রোগীকে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর আমরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানের ডাক্তারেরা তার মাথায় আটটি সেলাই দেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী আহত শিক্ষক ফজলুল হক জানান সন্ত্রাসীদের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে তাকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।