নিউজ ডেস্ক :
পঞ্চগড়ে আহমাদিয়া মুসলিম জামাতের (কাদিয়ানী) সালানা জলসার আয়োজন নিয়ে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষে ২ জন নিহতের ঘটনায় প্রশাসনের সাথে আলোচনার পর জলসা স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পরে শহরে মাইকিং করে সবাইকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানায় প্রশাসন।
জানা যায়, শুক্রবার আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা আয়োজন বন্ধের দাবিতে জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় পৌর এলাকায় মসজিদ থেকে মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আহমেদনগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাস্থলের দিকে মিছিল নেওয়ার চেষ্টা হয়। পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। মুসল্লিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীরা আহমদিয়াদের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। সেসময় পুলিশের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ২ জন নিহত, সাংবাদিক ও পুলিশ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের রাবার বুলেটে আরিফুর রহমান নামে এক যুবক নিহত হয়। তার বাড়ি পঞ্চগড় শহরে। আরিফ স্থানীয় ছাত্রশিবিরকর্মী বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
জলসা এলাকা থেকে আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের একজনকে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেরে ফেলা হয়। নিহত ওই ব্যক্তির নাম জাহিদ হাসান, তিনি একজন প্রকৌশলী।
আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের দাবি, তাদের ২৫টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতে আহমদনগরে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন ছিল। শহরের বিভিন্ন সড়কে টহল দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।