আবু সাইদ ( বিশেষ প্রতিনিধি)
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের নেতৃত্বে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক- কর্মচারীর প্রতিনিধিবৃন্দ এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।
অবস্থান কর্মসূচির ১২তম দিনে সমগ্র দেশ থেকে কয়েক হাজার অংশগ্রহণকারী নতুন করে যোগ দিয়েছেন। ১২তম দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যেদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে বঞ্চিত ও শোষিতদের ঐক্যবদ্ধ করে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। আজকের সেই দিনে জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটর সদস্য সচিব জনাব জসিম উদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান করে অবস্থান কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু করেন।
ক্ষুদে মুজিব নামে খ্যাত ইশতিয়াক আহমেদ মাহী বঙ্গবন্ধুর ভাষনটি উপস্হাপন করেন। শিক্ষকদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, সমগ্রদেশে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষক, ছাত্র/ ছাত্রী অভিভাবক সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা সবার অধিকার এই দাবি জানিয়ে ছাত্র/ ছাত্রী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাই মানসম্মত শিক্ষা ও সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষক নেতারা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবী জানান। শিক্ষক নেতারা আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব এমপিওভূক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের ঘোষণা করবেন। জোটের আহবায়ক অধ্যক্ষ মাইন উদ্দীন ও সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমদ বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয় সরকারি কোষাগারে জমাকরণ পূর্বক নীতিমালার পরিবর্তন করলে অনায়াসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা সম্ভব।
নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খুব শিঘ্রই বিবেচনা করবেন। আজ কর্মসূচির ১১তম দিনে সংহতি প্রকাশ করেছেন জনাব শিরিন আখতার এম পি (ফেনী ১) সাধারন সম্পাদক , জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। শিক্ষকদের দাবির সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাই এ যৌক্তিক দাবি তিনি জাতীয় সংসদে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরবেন এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন। আজ ১২ তম দিনে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছে তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সারাদিন শিক্ষক ও কর্মচারীগণ ধুলা-ময়লাযুক্ত রাস্তায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃরফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন আজিজি, আবু রায়হান, মোঃ শাহ আলম, জি, এম শাওন, ইমরান হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, মতিউর রহমান দুলাল, আফজালুর রশিদ, আয়নুল হক মন্ডল, বিপ্লব কান্তি দাস, রুহুল আমীন, মো: ফরিদ উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, আবুল বাশার নাদিম,বেলাল হোসেন, শেখ আব্দুর রহমান, আবুল বাশার, মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মো: ইসমাইল হোসেন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মতিন, ঝর্ণা বিশ্বাস , তোফায়েল সরকার , ইকরাম হোসেন, সহ প্রমূখ।