মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
কৃষিতেই জীবিকার নির্ভর করে এদেশের প্রতিটি কৃষকের। দিন- রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা জমিতে ফসল উৎপাদন করে এবং সেই ফসল বাজারে বিক্রি করে পরিবারের সকল চাহিদা মেটাতে হয়।জীবন যুদ্ধে যেন এদেশের কৃষকেরাই প্রথম সারির বিজয়ী বীর। তবুও এই কৃষকেরা মূল্যায়ন পাচ্ছে না সমাজের বৃত্তমান লোকদের কাছে।
কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, তার সল্প জমিতে কৃষি চাষ করে, এতে তার সংসারের সব চাহিদা মেটানোর পরও বাজার জাত করেন, আলু,টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আদা- রসুন, পিয়াজ, এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের সবজি। যা বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য চাহিদাও মিটাতে সক্ষম তিনি।
কৃষক জসিম আরও বলেন, ধান চাষের তুলনায়- সবজি চাষে দিগুণ মুনাফা। তাই তিনি সবজি চাষেই ব্যস্ত সময় পার করেন, এতে স্ত্রীও সন্তানকে নিয়ে ভালোই কাটছে তার জীবন।
কৃষক আতাউর বলেন, সে তার ২৫ সতাংশ জমিতে সবজি চাষ করে। এতে নির্ভর করে তার পুরো বৎসতর সংসার জীবিকার উৎশ। কৃষক আতাউর আরও বলেন, সে তার এই ২৫ সতাংশ জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষ করে, তার মধ্যে মরিচ চাষও পাট চাষে অনেকটা বেশি মুনাফা। তাই সে অন্য সবজির পাশাপাশি ১০ সতাংশ জমিতে বিন্দু মরিচের চাষ করেছেন, তুলনামূলক-ভাবে এই মরিচ অন্য সব মরিচের থেকে দাম ও চাহিদাও অনেক বেশি। এতে ফলন ভালো হলে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫/৬ মণ মরিচ উৎপাদন করতে পারবে - যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮/১০ দশ হাজার টাকা।
পাশাপাশি তিনি পাট চাষও করেন। এই পাট চাষে যদিও খরচও অনেক কম, কিন্তু এতে অধিক পরিমাণে মুনাফা, তাই কিছু জমিতে পাট চাষও করেন। তিনি বলেন প্রতি কাঠা জমিতে (২০০০) দুই হাজার টাকা খরচ দিলে, তা থেকে প্রায় (২০০০০/ ২৫.০০০) বিশ/ পঁচিশ হাজার টাকা মুনাফা আসে। তাই সে নিজেকে একজন সফল কৃষক মনে করেন এবং দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, করবো মোরা সবজি চাষ - থাকবো সুখে বারো মাস।