মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগে অবৈধভাবে সেচ পাম্প চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ বৈধ সেচ পাম্প মালিকদের।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে শতশত অবৈধ সেচপাম্প চালানো হচ্ছে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে । অনুমোদন বিহীন এসব সেচপাম্প অবাধে চালানো হচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছেন বৈধ সেচ পাম্প মালিকরা।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে বিএডিসি’র অনুমোদন প্রাপ্ত পল্লী বিদ্যুতের আওতায় বৈধ সেচ পাম্প রয়েছে প্রায় ৬শ’র মতো । অপর দিকে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে সহশ্রাধিক সেচ পাম্প।
অভিযোগ প্রকাশ, অবৈধভাবে সেচ পাম্প চালানোর কারনে বৈধ সেচ পাম্প মালিকরা চরম বিপাকে পরেছেন । অবৈধ সেচ পাম্প মালিকরা নিজের জমি চাষাবাদের পাশাপাশি অন্য কৃষকদের জমিও চাষাবাদ করে আসছেন।
অথচ লাখ লাখ টাকা খরচ করে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি নিয়ে সেচ পাম্প স্থাপন কারী সেচ পাম্প মালিকরা এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা সেচ দেয়ার মতো জমি পাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
সেচ পাম্প মালিকরা জানান, বৈধ সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সরবরাহে ভর্তূকি দিচ্ছে সরকার। আর আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সে ভর্তূকি নেই। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লাভবান হচ্ছে। একারনে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে অবৈধ সেচ পাম্প মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এবিষয়ে ভূক্তভোগী সেচ পাম্প মালিক উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কাড়াগাঁও গ্রামের আবুল কাশেম উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি তার আশপাশের প্রায় ১০ টি অবৈধ সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এ আবেদন করেন।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) হাফিজুর রহমান পত্রিকায় না লেখার সর্থে বলেন, এ মুহুর্তে এসব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে উঠতি বোবো ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে।
Leave a Reply