এস এম-নুর
পিরোজপুর প্রতিনিধি :-
ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষের মাঝে “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিন উপহার” এই স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ৪র্থ পর্যায়ের উদ্বোধন এবং সেই সাথে নাজিরপুর উপজেলাকে প্রাথমিক পর্যায়ে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার লক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেছে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা: সঞ্জীব দাশ।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়,নাজিরপুর উপজেলা টাক্সফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী- ‘ক শ্রেণী’ ভুক্ত একেবারেই ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ পাকাগৃহ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ১ম,২য়,৩য় পর্যায়ে ইতিমধ্যে ৮২১ টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পূর্ণবাসন করা হয়েছে। এ উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষ্যে ৪র্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট ৩১০ টি পরিবারকে পূর্ণবাসনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম আগামী ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করবেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার ক শ্রেণীর ভূমিহীন-গৃহহীন তালিকার সকলের জন্য শতভাগ পুনর্বাসন সম্পন্ন হওয়ায় নাজিরপুর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন।
এ উপলক্ষে নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন নানামূখী কার্যক্রম গ্রহন করেছেন। উপকারভোগী,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা সহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা: সঞ্জীব দাশ সরকারের এ মহতী উদ্যোগকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বর্তমান লক্ষিপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোরাগাছা গ্রামের ভূমিহীন-ছিন্নমূল মানুষের বাসস্থানের যে পূর্ণবাসনের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ ২১ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়ন করতে সারাদেশের ভুমিহীন-গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তার নিজ কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পুনরায় আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দর্শনটি বাংলাদেশের অগ্রগতি অভিযাত্রায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে “শেখ হাসিনা মডেল” হিসাবে সমাদৃত, যা আর্থসমাজিক উন্নয়নের ধারাকে নববিপ্লবে বিকশিত হয়ে ক্ষুধা ও দ্রারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ বির্নিমাণের পথকে সুগম করেছে। অসহায় দারিদ্রজনগোষ্টির পুনর্বাসন, প্রশিক্ষণ রিন প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দুরিকরণ-আশ্রয়ণ প্রকল্পের মুল লক্ষ ও উদ্দেশ্য।এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইস্রাফিল সহ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
পিরোজপুর সংবাদদাতা :-