মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরে সদর উপজেলার ১০নং চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামে জমিজমা সহ বিবিধ বিষয়াধী নিয়ে পূর্ব শত্রুতায় বাদীর বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলার ঘটনায় ০২জন মহিলা আহত হয়েছে। আহত ০২জনকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদ্বয়ের মধ্যে মোছাঃ কল্পনা বেগম এর অবস্থা গুরুতর। গত ১৮ মার্চ সকাল ১০ঘটিকার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জখমী সুজেদা বেগম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার মূলহোতা মোঃ আজিজুর রহমান আজাদ এক নারী লোভী ও খারাপ প্রকৃতির লোক দাবি এলাকাবাসীর। তিনি নানা ভাবে দীর্ঘদিন থেকে তাদের নির্যাতন করে আসছেন বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবার। তাছাড়া এলাকার অনেক মহিলার দিকে তার কুনজর আছে এলাকাবাসীর অভিযোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার তদন্তকাজ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের মো. আজিজুর রহমান আজাদ প্রায় বিশ বছর আগে শুকুর আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী কল্পনা বেগমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিবাহ করে। প্রায় বছর খানিক পর আজাদ তাকে ডিভোর্স দিলে পরবর্তীতে আবার শুকুর আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে তাদের বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। কাছাকাছি বাড়ি থাকায় পরবর্তী সময়ে আজাদ ভূক্তভোগী জখমীর উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। অনেক বার তাকে কুপ্রস্তাব সহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। গত করোনা মহামারী সময়ে লম্পট আজাদ ভূক্তভোগীকে তার ঘরে ডুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঐ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনার আপোষ-মিমাংসা করে দেয়।
গত কয়েক মাস আগে আজদ ভূক্তভোগীদের খড়ের গাদা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এক কথায় তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভূক্তভোগী পরিবারটি অভিযোগ এলাকাবাসির।তাছাড়া পারিবারিক ভাবে তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান থাকার জের ধরে গত ১৮মার্চ আজাদ ও তার বর্তমান স্ত্রী ভূক্তভোগীর বসত বাড়ির উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে তারা ২ জন আহত হন। স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আছে।
এ ঘটনায় বাদী সুজেদা বেগম বলেন, আমি আর আমার শাশুড়ি বাড়ি সামনে গেলে তারা অতর্কিত ভাবে ধারালো রামদা, লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। আমি নিজে বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আজিজুর রহমান আজাদ এর সাথে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।