মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের ঘাকপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই অনুষ্ঠানের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানকে অপমান করার অভিযোগও ওঠেছে।
স্বাধীনতার মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অভিযোগের সুষ্ঠুবিচার দাবীতে অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি এর প্রতিবাদে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার মাস উপলক্ষে উপজেলা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের স্থানীয় ঘাকপাড়া একতা ফ্রেন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে এলাকার প্রবীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানকে সভাপতি করা হয়। বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠান চলাকালিন সময়ে ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নাম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পরেন ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা শাহ পরান, আব্দুর রশিদ, হাবিবুর রহমান, সিরাজ মেম্বার, জালাল উদ্দিন, আলমগীর ও হারুন অর রশীদসহ বেশ কয়েকজন। তারা তাদের সমর্থিত লোকজন নিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যানার নামিয়ে ফেলে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসময় ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সাথে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের অপমান করে তারা। পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় উভয় পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেও উপজেলা শহরে এসে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, স্বাধীনতার সৈনিক হিসেবে আয়োজকরা আমাকে আমন্ত্রণ করেছিল। ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম না থাকায় আমাকে উপস্থিত রেখে অনুষ্ঠানের ব্যানার খুলে ফেলে তারা। এতে আমাকে সহ আমন্ত্রিতদের অপমানিত করা হয়েছে। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদের সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করার অভিযোগটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।