শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ কর্তৃক প্রদানকৃত ৩৯ টি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং ঘর ভাঙ্গার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ।
নড়াইল জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস(ল্যাপটপ, চার্জার, সিলিং ফ্যান ইত্যাদি) চুরির ঘটনায় ২২ ও ২৩ মার্চ নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চোর চক্রের সদস্যদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩৯ টি ল্যাপটপ, ১৪ টি ল্যাপটপের চার্জার, ৭২ টি সিলিং ফ্যান, ৪ টি প্রজেক্টর, ৩ টি প্রিন্টার, ১ টি স্ক্যানার, ১৬ টি মিনি সাউন্ড বক্স, ২ টি কম্পিউটার বক্স, ৩ টি কী বোর্ড, ২ টি মাউস এবং ১০ টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এছাড়াও ১ টি সেলাই রেঞ্জ, ২ টি প্লাস, ৩ টি স্ক্রু ড্রাইভার এবং ৮১,০০০/- নগদ টাকা জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার শহিদুল ইসলাম (৩০), রিজু সরদার(১৮), সোবহান মোল্যা(৩৮), মতিউর রহমান রাসেল(৩৫), আরমান মোল্যা(২০) ও মাগুরা সদর উপজেলার বাসিন্দা নেপাল দাস(৩০)।
গত ২৬ জানুয়ারি স্কুল বন্ধ থাকায় লোহাগড়া উপজেলার বিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ টি ল্যাপটপ ও ১৫ টি ল্যাপটপ চার্জার চুরির ঘটনা ঘটে। উক্ত চুরি মামলার কার্যক্রম তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ মার্চ একই ধরনের অপর একটি চুরির ঘটনা ঘটে এবং এ সংক্রান্ত নড়াইল থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করা হয়।
উভয় মামলার চুরির ধরণ ও প্রকৃতি একই রকম হওয়ায় নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিটকে নিবিড়ভাবে মামলা দুটি ছায়া তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা দুটি তদন্তকালে ১৭ মার্চ নড়াইল সদর উপজেলার চাকই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও হবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস চুরির আরো দুটি ঘটনা ঘটে।
নড়াইল জেলার বিভিন্ন স্কুলে এসব চুরির ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় মাঠে নামে জেলা পুলিশের একাধিক টিম এবং তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্যদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ। চোরাই মাল পরিবহনের জন্য গ্রেপ্তার নেপাল দাস তাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করত এবং চোরাই মালামাল বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চোর চক্রের সদস্যরা ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।