স্পোর্টস ডেস্ক :
বৃষ্টি আইনে কমে আসা লক্ষ্য ৮ ওভারে ১০৪ রানের পেছনে ছুটতে যেয়ে ৮১ রানে পৌঁছাতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। প্রকৃতি বাগড়া দেয়ার আগে রানে যেমন বন্যা ছুটিয়েছে বাংলাদেশ, পরে বলেও তুলেছে ঝড়।
আইরিশদের মূহমূহ চোখ রাঙানি ব্যাটিংয়ের বিপরীতে বৃষ্টি আইনে তুলে দিয়েছে ২২ রানের জয়। তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজে টাইগাররা এগিয়ে গেল।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। সেখানেই থামে স্বাগতিক ইনিংস।
ম্যাচের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে থামে বৃষ্টি। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর শুরু হয় খেলা। জিততে ডাকওয়ার্থ ও লুইস (ডিএল) মেথডে ৮ ওভারে ১০৪ রান লাগত আয়ারল্যান্ডের। ৫ উইকেটে ৮১ পর্যন্ত যেতে পারে তারা।
নাসুমের প্রথম ওভারে ১৮ তুলে চাপ জাগিয়েছিল সফরকারীরা। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলেছে বাংলাদেশ। রস অ্যাডায়েরকে (১৩) বোল্ড করে প্রথম আঘাত হানেন হাসান।
পরের সাফল্য তাসকিনের, লোরকান টাকারকে (১) বোল্ড করেন তিনি। তিন বল পর ঝড় তোলার চেষ্টায় থাকা ৮ বলে ১৭ করা পল স্টার্লিংকে বোল্ড করে আইরিশদের লাগাম অনেকটাই টেনে দেন টাইগার পেসার। পরের বলেই শূন্য রানে ডকরেলকে শামীমের ক্যাচ বানিয়ে রাশ টানেন তাসকিন।
এর আগে, বন্দরনগরীতে ইনিংসের শেষ ৪ বলে ৯ রান করলেই টি-টুয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডে নাম লেখাত বাংলাদেশ। নতুন রেকর্ড হতে দেয়নি চট্টগ্রামের প্রকৃতি।
কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২১৫ রান। ২০১৮ সালে কলম্বোয় নিধাস ট্রফির ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস ও রনি তালুকদার শুরুতে যেভাবে রান তুলছিলেন, সেই ধারা অব্যাহত থাকলে বৃষ্টির আগেই স্বাগতিকদের স্কোর চূড়া ছুঁতে পারত।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড। ৬ ওভারেই স্বাগতিকরা তুলে ফেলে ৮১ রান। পাওয়ার প্লে’তে আগের সর্বোচ্চ ৭৪ রান টপকে রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
লিটন-রনি ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৭.১ ওভারে ৯১ রান। দলীয় সংগ্রহ একশ ছোঁয়ার আগে ২৩ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪৭ রান করে ফেরেন লিটন। ২৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রনি।
১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় দেড়শ পেরোনোর পর রনি বোল্ড হন গ্রাহাম হিউমের বলে। ডানহাতি ওপেনার ৩৮ বলে করেন ৬৭ রান। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজান ইনিংস।
চার নম্বরে নেমে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ২০ বলে করেন ৩০ রান। ৮ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।