নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার চাকুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নানাবিধ অনিয়ম, দূর্ণীতির অভিযোগ এনে দূর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) জেলা শিক্ষা অফিস সহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের নধিসুত্রে জানা গেছে,
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আগামি কাল মঙ্গলবার নিয়োগ দেওয়া হবে ৩ টি পদে।
তিনটি পদের ভিতর সুইটি খাতুনের নিকট থেকে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা। এ নিয়ে রীতিমত বিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার চাকুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে ৩ টি পদে আগামি কাল (মঙ্গলবার) নিয়োগ পরিক্ষা হবে।৩ টি পদে ২৪ লাখ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ।
ইতিপূর্বে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এনে নিয়োগ বাতিল চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিস দায়সারা তদন্ত করে পুনরায় নিয়োগ পরিক্ষা দেওয়ার দিন তারিখ আগামী কাল নির্ধারণ করেছেন। প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান যোগসাজশে পুনরায় বিভিন্ন মহলে টাকা ছড়িয়ে নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাম মাত্র নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সুদক্ষ ভাবে সম্পূর্ণ করেছেন।
চাকরি প্রত্যাশী রেবেকার বাবা বাবুল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের নানাবিধ অনিয়ম দূর্ণীতির বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম মাত্র নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।পরিকল্পনা অনুযায়ী
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার সকল কার্যক্রম ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন, আগামি কাল নিয়োগ বোর্ড হবে। নিয়োগ বোর্ডকে সম্মানির নামে খাম ধরিয়ে দিয়ে ফলাফল সিট সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে সাক্ষর করানোর জন্য সব বিষয়ে কথা কাজ হয়ে গেছে। আমার মেয়ে রেবেকাকে চাকুরী দেওয়া কথা বলে মোবাইল ফোনে ৮ লাখ টাকা চেয়েছে প্রধান শিক্ষক।
আমি দিতে রাজি না হওয়ায় সুইটি খাতুনকে টাকার বিনিময়ে রাজি করিয়েছে। আমি এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল সহ সুষ্ঠু নিয়োগ দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম বলেন, টাকা আমি গ্রহন করিনি। যে টাকা নেওয়া হয়েছে তা সভাপতি নিয়েছে।
অপর দিকে সভাপতি সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সচেতন মহল এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল সহ সুষ্ঠু ভাবে মেথার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।