সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় খবির উদ্দিন মোল্লা (৬০)নামে এক ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। তিনি উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের পুরাচর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
অপর দিকে জলাতঙ্ক রোগি খবির মোল্লার শ্যালক একই গ্রামের আব্দুল হাই গত ৩ মার্চ কুকুরে কামড় দেওয়ার কারনে মারা যান বলে জানা যায়।
এদিকে গত শনিবার(২৫মার্চ) একটি ক্ষ্যাপা কুকুরের কামড়ে ৫/৭ টি গ্রামের শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়। এ সময় বেশ কিছু গরু ছাগলকেও কুকুর কামড় দিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকেই তাদের শিশু সন্তানদের ঘরের বাইরে বের হতে দিচ্ছেননা এমনকি তাঁরাও আতঙ্কে এবং সাবধানে চলফেরা করছেন। এরই মধ্যে সোমবার(২৭মার্চ) কুকুরে কামড় দেওয়া নতুন করে জলাতঙ্ক রোগি শনাক্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়,খবির উদ্দিন মোল্লা দুই পা অবস হয়ে যাওয়া,কিছুই খেতে না পারা,পানি দেখলে ভয় পাওয়া এবং অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ হওয়া উপসর্গ নিয়ে গত শনিবার(২৫মার্চ) রাতে সাঁথিয়া হাসপতালে ভর্তি হন।
খবির মোল্লা ও তার পরিবারের লোকজন জানান,প্রায় দের মাস আগে তাকে কুকুর কামড় দিয়েছিল। তিনি কোন ভ্যাকসিন না নিয়ে উপজেলার ফেঁচুয়ান গ্রামে এক কবিরাজের চিকিৎসা নেন। বেশ কয়েকদিন হলো তিনি অসুস্থ্য বোধ করায় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার (২৭মার্চ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জলাতঙ্ক রোগি হিসেবে শনাক্ত হন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,আমরা তাঁর লক্ষন বা উপসর্গ দেখে নিশ্চিত হয়েছি তিনি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত। আমার তাঁকে এই রোগের চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি। তিনি আরো বলেন,কুকুর কামড়ালে ভ্যাকসিন(প্রতিষেধক)ছাড়া এ থেকে বাঁচার অন্য কোন চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি। তাই কবিরাজি চিকিৎসা বা ঝাড়ফুঁক না নিয়ে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন নিতে সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।’