রাসেল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির মামলায় লালমনিরহাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সৈকত ইমরান ওরফে এসপিকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট জেলা কারাগারের পি ডিপ্লোমা নার্স বদিউজ্জামানের করা মামলায় সদর উপজেলার গৌতম চন্দ্র রায় ও সৈকত ইমরানকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে সদর থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট কারাগারের কয়েদিদের জন্য আসামী গৌতম চন্দ্র রায়ের কাছে পি ডিপ্লোমা নার্স মোঃ বদিউজ্জামান প্রায় সময় ঔষধ ক্রয় করতেন। অনেক সময় গৌতম চন্দ্র রায় সরকারি ঔষধ বাহিরে বিক্রির বিষয়ে বদিউজ্জামানকে উদ্ভুদ্ধ করতেন। এর এক পর্যায়ে গত ১৪ মার্চ তিনি রাজি হলে গৌতম চন্দ্র রায় ঔষধ কেনার জন্য দুজন ক্রেতাকে সাথে নিয়ে শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার তার ভাড়াটিয়া বাড়িতে আসেন। কিন্তু হঠাৎ বদিউজ্জামান ঔষধ বিক্রি করতে অসম্মতি জানালে তারা প্রত্যোকেই ক্ষিপ্ত হন এবং বাহিরে থেকে আরো তিনজন ব্যাক্তি তার বাসায় প্রবেশ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার ভয়ভীতি দেখান। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ ২৮ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ টাকার একটি চেক গ্রহণ করে চলে যায়।
এ ঘটনায় বদিউজ্জামান সোমবার সদর থানায় অভিযোগ করলে সদর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত প্রধান আসামী গৌতম চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করে তার তথ্যমতে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সৈকত ইমরান ওরফে এসপিকে গ্রেফতার করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান আসামী গৌতম চন্দ্র রায়ের তথ্যর ভিত্তিতে সৈকত ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এ বিষয়টি স্বীকার করেন।