মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের নালিতাবাড়ী পোড়াগাও ইউনিয়নের আন্ধারুপাড়া গ্রামে দেবরদের অত্যাচারে দুর্বিষহ জীবন পার করছে এক বিধবা নারী।
বিধবা ওই নারীর অভিযোগ- ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর দুটি পাইলিং মেশিনের মধ্যে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে একটি থাকে অসহায় ওই পরিবারটির। দেবর জয়নাল আবেদীন, জসিম উদ্দীন, জুলহাস উদ্দীন এরা ওই পাইলিং মেশিনের কোনো হিসাব নিকাশ অদ্যবধি পর্যন্ত অসহায় পরিবারটিকে বুঝিয়ে দেয়নি। পাইলিং মেশিনের আয়ে চলতো তাদের সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর দেবররা নিয়ন্ত্রণে নেয় ওই মেশিন। যার ফলে ২ কন্যা সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিন পার করছে অসহায় বিধবা নারী রাজিয়া বেগম। দেবরদের এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে বিচার চেয়েও কোনো সুরাহা পায়নি তিনি। মেশিনের হিসাব নিকাশ চাইতে গেলে দেবররা বিধবা ওই নারীকে মানসিক চাপ সহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অপচেষ্টা করতে থাকে। জোর করে সহি স্বাক্ষর নিতে চেষ্টা করেছে কয়েকবার ওরা। ঝগড়া বিবাদও হয় বেশ। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে দেবর জায়নাল আবেদীনের হামলার স্বীকার হয় পরিবারটি। জয়নাল তার ভাবী রাজিয়াকে মারধোর করে। এ সময় ভাতিজি চাচাকে বাধা দেয়। রাজিয়া খাতুন ও তার ২ কন্যাকে ঘরের ভিতর অবরুদ্ধ করে রাখে জয়নাল। ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশী সহযোগিতায় উদ্ধার হয় বিধবা নারী রাজিয়া ও তার ২ কন্যা। পরে থানায় একটি অভিযোগ দেয় রাজিয়া।
এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জয়নাল পক্ষও থানায় একটি অভিযোগ দেন।
এব্যাপারে জয়নাল আবেদীন বলেন- তার ভাই ঋণগ্রস্থ ছিল। তাই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে তাদের অনেক গচ্ছা দিতে হয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় পোড়াগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ জামাল উদ্দীন বলেন, হাশেমের ঋণ ভাইয়েরা বহন করে মেশিনটি উদ্ধার করে বিক্রি করেছে।
স্বামীর সম্পদ ও সকল জিনিসের অধিকার নিশ্চিতকল্পে সুবিচারের দাবি জানিয়েছে অসহায় পরিবারটি।