এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি :
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার আমশো দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুনসুর রহমানকে প্রকাশ্যে কলার ধরে টানা হেছড়ার ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে তানোর সাব রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন (ইউপির) মোহর গ্রামের আলমগীরকে মাদ্রাসায় চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কয়েক বছর আগে তার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আমশো দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুনসুর রহমান। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও চাকরী দিচ্ছেন না টাকাও ফেরৎ না দিয়ে আজকাল করে ঘুরাচ্ছেন। এরই জের ধরে আলমগীরের স্বজনরা টাকা ফেরতের জন্য সুপারের কলার ধরে টানা হেছড়া করেন। শুধু আলনগীরের কাছে না সুপার মাদ্রাসায় চাকরী দেয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সুপারকে উত্তম মাধ্যম দিতে তেড়ে ধরেন, পালিয়ে রক্ষা পায় সুপার। ফলে এমন সুপারকে আইনের আওতায় আনার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। এ অবস্থায় চলতি মাসের ৩০ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সুপারকে পেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলেন আলমগীরের স্বজন ধানতৈড় গ্রামের হাসেম আলী। সুপার টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাশেমসহ তার লোকজন পাঞ্জাবীর কলার ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে চান
সুপার মুনসুর বলেন, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়া হয়নি। আর আলমগীরকে আমি চিনিনা। প্রায় এক বছর আগে হাসেমের কাছ থেকে সুদের উপর একলাখ টাকা নিয়েছিলাম। এখন হাসেম বলছে সুদ বেড়ে ৪ লাখ টাকা হয়েছে। পরে বসে মিমাংসা করা হয়েছে। কিভাবে মিমাংসা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে ভাবে হোক হয়েছে বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে হাসেম বলেন, কোন সুদের টাকা না, চাকুরী দেওয়ার কথা বলে আমার আত্মীয় আলমগীরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আজ কাল করে তালবাহানা করে আসছে। মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল মোল্লা জানান, ঘটনা সম্পর্কে অজানা।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঘটনা অজানা, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।