এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে দেখা মিললো প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো গম্বুজ মসজিদের। এমন দুইটি মিনারের গম্বুজ মসজিদের সন্ধান মিলেছে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের আড়াদিঘী গ্রামে। একসময় গম্বুজ মসজিদটিতে পাড়ার মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। কিন্তু এখন কালের পরিবর্তনে সেখানে আর কেউ নামাজ পড়ে না।
যার ফলে গম্বুজটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে থেকে তার সুন্দর্য হারিয়ে প্রায় বিলুপ্তির উপক্রমাই উঠেছে। আড়াদিঘী গ্রামের স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে,এই দুইটি মিনারসহ গম্বুজ মসজিদটি প্রায় দেড়শো বছর আগে একরাতে জহর আলী নামের একজন মানুষের জায়গাতে অদৃশ্য ভাবে তৈরি করা হয়।
গম্বুজ মসজিদটি নির্মানে গ্রামের কোন ব্যক্তি তো দূরের কথা জমির মালিকও দেখতে পায়নি। সকালে জমির মালিক জহর আলী বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে গম্বুজ মসজিদটি দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানান। তৎক্ষনাৎ রাতারাতি এমন গম্বুজ মসজিদের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক নজর গম্বুজ
মসজিদটি দেখার জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। শুরু হয় জনসাধারণের মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনার কৌতূহল। কেউ বলছেন গম্বুজটি জ্বিনে তৈরি করেছে আবার কেউ বলছে গম্বুজটি দরগা বাবা তৈরি করেছেন। এতে করে রাতারাতি গম্বুজ মসজিদ তৈরি হওয়া নিয়ে সেসময় থেকে এখন পর্যন্ত গ্রামবাসীসহ জনসাধারণের মধ্যে কাটেনি ধোঁয়াশা। আড়াদিঘী গ্রামের শমসের আলী জানান,একসময় এই গম্বুজ মসজিদে তার বাপ দাদারা নামাজ পড়েছেন। কিন্তু এখন যুগের পরিবর্তনে গ্রামে বড় মসজিদ হওয়ায় সেখানে আর এক ওয়াক্ত নামাজও কেউ পড়ে না। এমনকি গম্বুজ মসজিদের কোন যত্নও কেউ করে না। যার জন্য একটা নির্দশন গম্বুজ মসজিদের বিলিপ্তির উপক্রমা হতে চলেছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে গম্বুজ মসজিদটি সরকারি ভাবে সংস্করণের দাবি জানান। আড়াদিঘী গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার শামসুদ্দিন বলেন, এমন রাতারাতি তৈরি করা গম্বুজ মসজিদের খুব কম দেখা মিলে,এই গম্বুজ মসজিদটি পূর্ণ সংস্কার কাজ করা হলে গম্বুজ মসজিদটি দেখতে আকর্শনী লাগবে। এমনও হতে পারে এই গম্বুজ মসজিদটি দর্শনার্থীদের কাছে দর্শনের একটি মনোরঞ্জনের স্পর্ট জায়গা বলে জানান তিনি।