মাসুদ রানা,খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট থেকে দুহশুহ হয়ে চেহেলগাজী বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যাত্রী ও গাড়িচালকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান কয়েকটি সড়কের মধ্যে খানসামা উপজেলার পাকেরহাট ও বীরগঞ্জ উপজেলার একটি অন্যতম সংযোগ সড়ক। সড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার অংশের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয় হওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত খামারপাড়া ইউনিয়নের বালাপাড়া, দুহশুহ, কায়েমপুর, খামারপাড়া, নেউলা এবং পাকেরহাট থেকে জয়ন্তিয়া ঘাট হয়ে বীরগঞ্জ উপজেলায় ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রোতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এরই মধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে যানবাহনের ক্ষতি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ বেড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, এ সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এছাড়াও গত কয়েক বছরে পানি মিশ্রিত বালু ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে বহন করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। রাস্তাটি প্রশস্ত করে সংস্কার না করলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাধীন জয়ন্তিয়া ব্রিজ কাজে আসবে না। দুহশুহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও দুহশুহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও নিউ পাকেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে ও সাইকেল করে স্কুলে যাতায়াত করে থাকেন। হাসপাতালেও রোগীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে করতে হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, এই রাস্তার কাজ হবে বলে আশ্বাস দিলেও হয়নি সংস্কার ও প্রশস্তের কাজ। এতে ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।'
পাকেরহাট গণগ্রন্থাগারের সভাপতি রাশেদ মিলন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কারে কোন অগ্রগতি না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্থানীয়রা। এই রাস্তা সংস্কারে দ্রুত কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দরকার।'
খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, পাকা রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কারে ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের হাতে নেই। এটি স্থানীয় সংসদ সদস্যর হাতে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। জানানোর পর রাস্তার গাছ কাটতে বলে, আমরা গাছ কেটেছি, এখনো কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ।'
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এ সড়কটি প্রশস্ত ও সংস্কার করা যাবে।'
ছবির ক্যাপশন: দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাট থেকে চেহেলগাজী বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে জনসাধারণ। ছবিটি সম্প্রতি তোলা
বার্তা প্রেরকঃ
মাসুদ রানা
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি