নিউজ ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানা গেছে, পুলিশ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত শামস জামিনে থাকবেন।
ঢাকার সিএমএম আদালত গত বৃহস্পতিবার শামসুজ্জামানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে প্রথমে তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়, পরদিন নেওয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে। এরপর শনিবার তাকে আবারো কেরানীগঞ্জ কারাগারে আনা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি পরিচয়ে সাভারের বাসা থেকে ‘তুলে নেওয়ার’ ৩০ ঘণ্টা পর শামসুজ্জামানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার ভোররাতে ‘তুলে নেওয়ার’ পর শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এরপর বুধবার মধ্যরাতে তার বিরুদ্ধে একই আইনে রমনা থানায় আরেকটি মামলা হয়।
দুই মামলাতেই ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে। প্রথমটি তেজগাঁও থানায়, দ্বিতীয়টি রমনা থানায়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এ মামলার প্রধান আসামি।
গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়।
পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।