পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় মা-ছেলে গুরুতর আহত করে অবরুদ্ধ করে রাখে সন্তন্ত্রাসীরা। অবশেষে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার। উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বুধবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কন্দ্র করে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে হারুন চাপরাশির বাড়িতে গিয়ে একি গ্রামের মৃত্যু আঃ বারেক হাং এর ছেলে রাসেলও তার দলবল এই হামলা করে। পারিবারিক ২/৩ দিন পূর্বে বাড়ির পাশের খালের মাটি কাটা নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। ঐ সময় সন্ত্রাসী দল বিউটি বেগম (৪৫) নামে এক মহিলার উপরে হামলা চালায়। এই ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় অভিযোগ দিলে রাসেল সহ দুইজনকে পুলিশ আটক করে। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থায় শালিশ বৈঠকের মাধ্যেমে মিমাংসার কথা বলে থানা থেকে ছাড়া পায়। ৬ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার শালিশের কথা ছিল ।
কিন্তু তার আগেই বুধবার সকালে বিউিটি বেগমের ছেলে ছগীর বাড়ির সামনে রাস্তায় বের হলে রাসেল, ওবায়েদ, তরিকুল, গংরা তার উপরে আর্তকিত ভাবে দেশিয় অস্ত্র লাঠিসোঠা, জি আই পাই নিয়ে হামলা চালায়। এমন কি হামলা করে রাস্তায় পাহারা বসিয়ে রাখে যাতে করে চিকিৎসার জন্য কোথাও না যেতে পারে।
অভিযুক্ত রাসেলকে ফোন দিলে তিনি ঘটসার কথা অস্বিকার করেন।
এমন অবস্থায় দিশেহারা পরিবারটি থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রওনা দিলে পথিমধ্যে রাসেল ও তার সহযোগীরা পুলিশেল সাথে কথা বলার ছলে তাদের দার করায় এবং আহতেদের নিয়ে ভ্যান গাড়িতে করে কিছুটা সামনে এগিয়ে গেলে সেখানে তাদের থামিয়ে আবার মারধর করে পরে পুলিশ এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। আহতর স্বামী হারুন চাপরাশী বলেন আমরা গরীব মানুষ ঘরের পাশে খঅল একটু মাটি কেটে পোতা বানছিলাম রাসেল ও তার দলবল নিয়ে খামাখা আমার বউ পোলারে পিডাইছে। এহন আমি কি করমু কিছু বুঝিনা আমরা পুলিসের সহায়তায় হাসপালে আইছি ওদিকে আবার আমাগো ঘরদুয়ার ভাংতেছে ঐ সন্ত্রাসীরা খবর পাইছি বাড়ি ছোড দইডা মাইয়া রইছে কি হয় আল্লায় জানে।
পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নুরউদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন অমি অভিযো পেয়েছি আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
পিরোজপুর সংবাদদাতা:-