খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭এপ্রিল) ইফতারের পরে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামের কৈ পাড়া থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের নাম হাবিবুল্লাহ ওরফে আলিফ (২০)। তিনি পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার কল্যাণীহাট দারিয়াপুর এলাকার আঃ হান্নানের বড় ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হাবিবুল্লাহর বাবা আঃ হান্নান প্রায় ২০ বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন । সেই থেকেই অলিফের পুরো পরিবার নানা আব্বাস উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করে। নিহত আলিফ আগে ভ্যান চালাতো। কিন্তু মাস দুয়েক আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে, সে ঢাকায় গিয়ে গামেন্টস এর চাকুরী করতেন। বাড়িতে রাখা তার আগের ভ্যানটি বিক্রি করার জন্য গত সপ্তাহে সে বাড়িতে আসে। সন্ধ্যায় ইফতারি করার আগ মুহূর্তে তার নানীকে বলে, মোক গরুর গোশত দিয়ে ভাত দে, মুই ভাত খাইম। তখন তার নানী বলে ভাই গোশত তো নাই আর, শেষ হয়ে গেছে। এই কথা বলার পরেই সে রাগ হয়ে পানির জগ, ভাতের প্লেট ফেলে দিয়ে ঘরে যায়। পরে ইফতার শেষে তার নানী দেখে তার নাতি ঘরের সরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আছে। পরে তার নানীর চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার লোকজন আসলে বিষয়টি দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ নিচে নামায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) মো.তাওহীদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামিয়েছে পুলিশ। নানির কাছ থেকে গোশত না পেয়ে অভিমান করে গলায় রশি ফাঁস দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন হলেও পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, মহিলা সদস্যার সাথে আলোচনা করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য না পাঠিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সর্বশেষ এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ছবির ক্যাপশন: যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ।
বার্তা প্রেরকঃ
মাসুদ রানা
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি