এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধি :
রাজশাহী তানোর (গ.শাখা) পৌরসভার উন্নয়নের কাজ নিয়ে চিন্তায় ভুগছেন পৌরবাসী।
তানোর পৌরসভার অগ্রগতি ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত এডিপির অর্থ ৯/৬ কারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এডিপি প্রকল্পের বরাদ্দের কাজ হিসাবে তানোর পৌরসভার আমশো গ্রামে একটি রাস্তা ও রাস্তা গাইট ওয়াল নির্মাণে নিম্ন সামগ্রী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে বলে এলাকাবাসী সেই কাজে বাধা দেন। পরে এলাকাবাসী তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক কে মুঠোফোনে বিষয় টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে তানোর পৌরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার তারেক রহমানকে পাঠান।
ঘটনাস্থলে এসে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার তারেক রহমান ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের পক্ষ ও সিডিউল না দেখিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে এডিপি প্রকল্পের কাজে বাধা কারিদের অর্থাৎ এলাকাবাসীকে বলেন এডিবি প্রকল্পের অর্থ আগেই ২০% খরচ হয়ে যায় এবং নিজের মুখে স্বীকার করেন তানোর পৌরসভায় যে সমস্ত এডিপির কাজ হচ্ছে তা সবই নিম্নমানের হচ্ছে।
প্রশ্ন হল?এই এডিপি প্রকল্পের ২০% অর্থ কোথায় গিয়েছে,
তানোর পৌরসভার ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঠিকাদারদের ইচ্ছায় যেমন খুশি তেমন ভাবেই এডিপি প্রকল্পের উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে। কোন তদারকি নেই পৌরসভা থেকে,উল্টো ঠিকাদারদের সাপোর্ট করছেন মেয়র ইমরুল হকসহ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার তারেক রহমান এমনকি তানোর পৌরসভার স্টাফ রা ঠিকাদারদের সাথেই সঙ্গ দিচ্ছেন।
এলাকাবাসী বলছে, তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত পৌরসভায় যে উন্নয়ন হয়েছে যেমন-নতুন রাস্তা,প্রোডাকশন ওয়াল,রাস্তা সংস্কার, ড্রেন নির্মান সহ যে সকল উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে তা একি বারে নিম্নমানের করা হয়েছে সরোজমিনে দেখলেই তা সবাই বুঝতে পাবে। ঠিকাদার,মেয়র ও ইঞ্জিনিয়ার মিলেমিশে এডিপি প্রকল্পের বাজেটের অর্ধেক টাকা দিয়ে নিম্নমানের উন্নয়নের কাজ চালাছে তানোর পৌরসভায়।
এবিষয়ে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হককে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এমন তো অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপনের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে যে উন্নয়নের বরাদ্দ তানোর পৌরসভায় দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক ভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে
স্থানীয় সংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তানোর পৌর এলাকাবাসী।