মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুর জেলা শহরের পৌর শেখহাটি মহল্লার বাসিন্দা হতদরিদ্র ঘরের সন্তান বিষু শেখের ছেলে মানিক মিয়ার সংসার চলে অনাহারে অর্ধহারে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সহায় সম্বলহীন মানিক মিয়া (৪২) ছোট বেলা থেকেই অন্যের কাজ করেই দিন চলতো তার।
বিয়ের পর এক সন্তানের জনক মানিক মিয়ার স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছিলো। অসচ্ছলতা থাকার কারণে ২ বছরের শিশু কন্যা সন্তান ভূমিকা খাতুন কে রেখে স্ত্রী অন্যত্রে চলে যায়। বিপদের সম্মুখিন হয়ে পড়ে ২ বছরের শিশু কন্যা ভূমিকাকে নিয়ে।
জীবন যুদ্ধ শুরু হয় মানিক মিয়ার, স্থানীয় এক দোকানদারের কাছ থেকে ৫ শত টাকা ধার নিয়ে বাজার থেকে শাকসবজি কিনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করে শিশু সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত শুরু করেন।
অন্যের জায়গাতে বসবাস করাসহ ব্যাপক আর্থিক সংকটের কারণে বেড়ে ওঠা শিশু সন্তান ভূমিকাকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া সম্ভব হলেও আর্থিক সংকটের কারণে আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ভূমিকা খাতুনের।
অভাবের কারনে মানিক মিয়ার একমাত্র সন্তান ভূমিকা খাতুনের বিবাহের প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসীর আর্থিক ও সার্বিক সহযোগীতায় ১ বছরে আগে বিয়ে হয় ভূমিকা খাতুনের।
বর্তমানে মানিক মিয়া তার নিজ ফুফুর ১ শতাংশ ভূমির উপর অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া ভাঙ্গাচোরা টিন সংগ্রহ করে ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে মানিক মিয়া ও বৃদ্ধা পিতা বিষু মিয়াকে নিয়ে বসবাস করেন।
সকাল থেকে মানিক মিয়া শাকসবজি বিক্রি করে ১ শত থেকে দেড় শত টাকা লাভ করে ওই টাকা দিয়েই চলে মানিক মিয়ার মানবেতর জীবন।
ভাঙ্গাচোরা ঘরটিতে বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গাচোরা চাল দিয়ে পড়ে পানি। সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে বসে থাকতে হয় বৃদ্ধা পিতা ও মানিক মিয়ার।
সারাদিন পড়া মহল্লায় শাকসবজি বিক্রি করে মাথা গুঁজার ১ শতাংশ ভূমির উপর সরকারি ভাবে একটি ঘর নির্মাণের দাবী তার।