এস আর,সোহেল রানা,রাজশাহীপ্রতিনিধ:
রাজশাহীর তানোরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফেমাস বিজনেস এন্ড ডেভলপমেন্ট নামের এনজিওর মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সদস্যকে মারপিট করে আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় আহত এনজিওর সদস্য শামিম উদ্দিনের পিতা নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে আসামি করা হয়েছে, (১) উপজেলার প্রানপুর পাঠাকাটা গ্রামের আফসার আলীর পুত্র কথিত ফেমাস এনজিওর মালিক আশরাফুল ইসলাম, (২) আব্দুল লতিফ মন্ডলের পুত্র ম্যানেজার পলাশ হোসেন, (৩) মেসের আলী, (৪) মৃত কলিমউদ্দিনের পুত্র আফসার আলী ও (৫) মৃত আইয়ুব আলীর পুত্র লতিফ আলী।
অন্যদিকে মারপিটের ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ফেমাস বিজনেস এন্ড ডেভলপমেন্ট এনজিওর মালিক আশরাফুল ইসলাম ও ম্যানেজার পলাশ হোসেন।
এঘটনায় এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে উত্তেজনা। সেই সাথে উঠেছে এনজিও মালিক আশরাফুল ইসলাম ও ম্যানেজার পলাশের কঠোর শাস্তির দাবি।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে,সোমবার (১০এপ্রিল) সকালে উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির প্রানপুর পাঠাকাটা মোড়ে। আহত সদস্য শামিম উদ্দিনের বাড়ি একই ইউপির কোয়েলহাট গ্রামে।
সে নাসির উদ্দীনের পুত্র। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,শামিম উদ্দিন প্রায় দুই বছর ধরে মুন্ডুমালায় অবস্থিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফেমাস বিজনেস এন্ড ডেভলপমেন্ট নামের এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে রীতিমতো সদস্য হয়ে কিস্তি পরিশোধ করে আসছেন।
পাশাপাশি সঞ্চয় জমাও দিয়ে আসছিলেন শামিম উদ্দিন। এতে করে শামিম উদ্দিনের ঋণ শোধ হয়ে তার পাশ বয়ে ৫হাজার ২শ টাকা সঞ্চয় জমা হয়। এতে শামিম উদ্দিন পূণরায় আবারো ফেমাস এনজিওর কাছে ঋণ চান।
কিন্তু মাসের পর মাস চলে গেলেও শামিম উদ্দিন কে ঋণ দেননা ফেমাস এনজিওর ম্যানেজার পলাশ হোসেন। ফলে ঘুরে ঘুরে পায়ের স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে গেলেও ঋণ না পাওয়ায় চরম হতাশা গস্ত হয়ে ম্যানেজার পলাশের কাছে তার জমানো সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চান।
এতে ম্যানেজার পলাশ শামিম উদ্দিনের জমানো সঞ্চয়ের ৫হাজার ২শ টাকা থেকে ২২শ টাকা কেটে নিয়ে ৩হাজার টাকা শামিম উদ্দিন কে দেন।
কিন্তু শামিম উদ্দিন সঞ্চয়ের জমানো ৫হাজার ২শ টাকার মধ্যে ৩হাজার টাকা নিতে না চাইলে ম্যানেজার চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে চেয়ার থেকে উঠে শামিম উদ্দিনের উপর মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে আসেন।
এসময় ম্যানেজারের সাথে শামিম উদ্দিনও চড়াও হলে দুজনের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। যা স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে দু’পক্ষকে থামিয়ে দেন। এসময় শামিম উদ্দিন তার অটো গাড়ি নিয়ে মুন্ডুমালা বাজারে গরু কেনার উদ্দেশ্য চলে যান।।
এরইমধ্যে খবর পেয়ে এনজিওর মালিক আশরাফুল ইসলাম লোহার রড হাঁসুয়া, সাবল হাতে দলবল নিয়ে সিএনজি গাড়িতে করে ধাওয়া দিয়ে রাস্তার মধ্যে শামিম উদ্দিনের পথরোধ করে কোন কথা ছাড়াই এলোপাতাড়ি মারপিট করতে শুরু করেন।
ঘটনাস্থলে শামিম উদ্দিনের চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসতে লাগলে শামিম উদ্দিন কে ফেলে রেখে পালিয়ে যান এনজিওর মালিক আশরাফুল সহ তাঁর বাহিনীরা।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে শামিম উদ্দিন কে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে শামিম উদ্দিন তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে ফেমাস এনজিওর মালিক আশরাফুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।