নিজস্ব প্রতিবেদন
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আকন গ্রুপ এবং হাজী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ এপ্রিল) উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের তয়কা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- আলমগীর কবিরাজ ও হেলাল বেপারী। আহত কামাল বেপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।তাকে বরিশাল শেই-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে আলমগী কবিরাজ ও হেলালে বেপারীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে মেডিকেল কতৃপক্ষ জানিয়েছেন।
নিহত আলমগী কবিরাজের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন , ‘দুই মামলায় সাত বছর গ্রামের বাইরে থাকার পর একমাস আগে সে এলাকায় আসে। এরপর থেকেই হাজী গ্রুপের লোকেরা তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে আসছিল। সোমবার হাজী গ্রুপের রুবেল শাহ সহ কয়েকজন পুলিশকে সাথে করে নিয়ে এসে এসে আকন গ্রুপের পাঁচ জনকে আটক করে। আটক থেকে রক্ষা পেতে কামাল দৌড় দিলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে কামাল আহত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আকন ও হাজী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।হাজী গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে আলমগীর কবিরাজ ও হেলাল বেপারী সহ অনেকেরই বাড়ির পাশে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকেন।বিষয় হাজী গ্রুপের সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে সেখান থেকে তাদের বের করে বিলের মধ্যে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।রাতে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
বাটামারা পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন অশ্রু মুঠোফোনে বলেন ‘ অনেক দিন ধরে এ দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলে আসছে। এর জের ধরে ইতোমধ্যে দুই গ্রুপের ১৫ জনের মতো হত্যার শিকার হয়েছে। গ্রাম ছাড়া হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ।’
পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হামলায় পুলিশ সদস্যরাও আহত হয়েছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply