মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে জমি সংক্রান্ত বিরুদ্ধের জের ধরে রাবেয়া বেগম (৪০)নামে এক নারী কে হাতপা বেঁধে ও গলায় দড়ি বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে ২৮ মার্চ মঙ্গলবার উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রামে। রাবেয়া বেগম ওইগ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের স্ত্রী। এব্যাপারে রাবেয়া বেগম বাদি হয়ে ২৯ মার্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ২৬ দিনেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। জানা গেছে, রাবেয়ার সাথে একইগ্রামের প্রভাবশালী রিয়াজুল ইসলাম, ও সোলাইমান গংদের বেশ কিছু দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা ও রয়েছে। ঘটনার দিন বিকাল আনুমানিক তিনটার দিকে রাবেয়া তার জমিতে কাজ করতে গেলে রিয়াজুল ইসলাম ও তার লোকজন রাবেয়ার উপর আক্রমণ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় রাবেয়াকে দুহাত পা বেঁধে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় দড়ি দিয়ে টানা হেছড়া করে। রাবেয়ার মা মুসলিমা বেওয়া বিবাদীদের হাত থেকে রাবেয়াকে উদ্ধার করতে গেলে বিবাদীরা তাকেও মারধর করে। এসময় লোক চিৎকার হলে- হলদীগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবেয়া ও তার মা মুসলিমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে রাবেয়া বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামী করে( ২৯ মার্চ) ঝিনাইগাতী সি আর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঝিনাইগাতী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গত ২৬ দিনেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এদিকে রাবেয়া বেগম মামলা দায়ের করার পর থেকেই বিবাদীরা মামলা তুলে নিতে বাদি ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ফলে রাবেয়া বেগম ও তার পরিবারের লোকজন এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম বলেন , উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এমসি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।