মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো , শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যে সরকারি জমি উদ্ধার করলেন উপজেলা প্রশাসন। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ জমি উদ্ধার করা হয়। উক্ত সরকারি জমি উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আশরাফুল কবির।
এ সময় সদর ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারি কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি সরকার, সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন, ভুমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারি ও থানা পুলিশ সহ শতাধিক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
ভুমি অফিস সুত্রে জানা যায় , উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহারশি নদীর ব্রীজ সংলগ্ন চল্লিশ কাহনিয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ান নদী ভুক্ত - শ্রেনীর ৩০ শতক জমি ঝিনাইগাতীর জৈনক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আমেরিকা প্রবাসী এবিএম সিদ্দিক জবর দখল করেন। এবং স্থানীয় ভুমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের আদেশকে তোয়াক্কা না করে এজমিতে দোকানপাট নির্মাণ করে।
শেষ পর্যন্ত বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জবর দখলকারীকে নিজ দ্বায়িত্বে স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ প্রদান করা হলেও সরানো হয়নি অবৈধ স্থাপনাগুলো।
অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ড্রেজার মেশিন দ্বারা উক্ত স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এতে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আশরাফুল কবির প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের জানান, ঝিনাইগাতী বাজার থেকে প্রতি বছর ২ কোটি টাকার উপরে সরকারি রাজস্ব্য আদায় হয়। বাজারে বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নদী থেকে পানি নেয়ার কোন রাস্তা নেই।
পাশাপাশি বাজারে প্রধান সড়কে যত্রতত্র অটো, সিএনজি রাখায় প্রায়শই জ্যাম লেগে থাকে। এতে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হয় পথচারিদের। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যেই ওই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়। যেখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী যাওয়ার রাস্তা সহ অটো সিএনজি'র গ্যারেজ করা হবে।
এ মার্কেটের ২/১ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা হবে বলেও জানান তিনি। উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষে উদ্ধারকৃত জায়গাতে ২ টি ফলজ গাছ রোপন করেন,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. আশরাফুল কবির।