মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় জুড়ে জ্বলছে শুধু আগুন। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে শাল গজারির কপিচগাছসহ নানা প্রজাতির ছোট ছোট বৃক্ষ গুলো।
শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পুরো গারো পাহাড়ে চলছে আগুনের তান্ডব। আগুনে পুড়ে সাবাড় করা হচ্ছে গারো পাহাড়ের বৃক্ষ। ফলে গারো পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে।
জানা যায় , উপজেলার কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের সীমান্ত জুড়ে রয়েছে বনভূমি। এ বনভূমিতে রয়েছে সারি সারি শাল গজারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি।
প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায় শাল গজারীসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির বৃক্ষ। এসব বৃক্ষ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জের আওতায় তিনটি ফরেষ্ট বিট অফিস রয়েছে।
এসব অফিসগুলোতে রয়েছে বন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কিন্তু আগুনদস্যুদের থাবায় রক্ষা পাচ্ছে না বনাঞ্চল। বন কর্মচারীরা রয়েছে নিরব ভূমিকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিনই জ্বলছে গারো পাহাড়ের কোন না কোন এলাকার বনাঞ্চল ও পাহাড়ে আগুন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু এবছরই নয়। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে গারো পাহাড় জুড়ে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। দিনের পর দিন আগুনে পুড়ে কয়লা হচ্ছে গারো পাহাড়ে বেড়ে উঠা বৃক্ষ । শুধু তাই নয় গারো পাহাড়ে রোপিত বেতবাগান আগুনে পুড়ে সাবাড় হচ্ছে।
সেই সাথে পোকা মাকড় কীটপতঙ্গ পুড়ে কয়লা হয়। ফলে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা শালগাজারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কপিচ গাছগুলো আর বেড়ে উঠতে পারছে না। পরে বন কর্মচারীরা আগুনে পুড়া বনাঞ্চল ও পাহাড় ন্যাড়া পাহাড় দেখিয়ে করে থাকে সামাজিক বনায়ন।
এতে গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। বন কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে রাখালরা গরু চরাতে এসে বনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দের কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন না ধরে কেটে দেন। শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, প্রচন্ড তাপদাহ ও জনগনের অসাবধানতার কারণে মাঝে মধ্যে বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্রনে আনার চেষ্টা করে। বনের লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে কোন আগুন দেন না।