পিরোজপুর প্রতিনিধি:-
নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি পিরোজপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া। গত বুধবার (২৬ এপ্রিল)২০২৩ সকাল ৭ টায় পিরোজপুর সদর উপজেলার ১ নং শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রী সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা নিখোজ হয়।
নাবালিকা সাদিয়া আক্তার স্বর্ণা উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা এলাকার সোবহান শেখের মেয়ে। সাদিয়া গত বুধবার পিরোজপুর শহরে বোনের বাসা থেকে বের হয়ে যায়, এরপর অনেক খোঁজাখুঁজিতে তাকে না পাওয়া গেলে পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সে তার বোনের পিরোজপুর শহরের বাসা থেকে সারে চার ভরি স্বর্ণালংকার ও তিন লক্ষ নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সাদিয়া আক্তার এর বাবা ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান শেখ এই প্রতিবেদককে বলেন আমার নাবালিকা মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে মুকুল হাওলাদার নামে ৪৮ বছর বয়স্ক এক লোক ডিস্টার্ব করত এবং দের মাস আগে তার মা ও ভগ্নিপতির সহায়তায় আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায়, নিয়ে গাওখালীতে একটা ভুয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।
আমরা খবর পেয়ে ওই কাজির কাছে যাই এবং ওই বিয়ে বাতিল করাই এবং ওই মুকুল স্বীকারোক্তি দেয় যে আর কখনোই আমার মেয়ে কে ডিস্টার্ব করবেন না ।আমার মনে হয় হয়ে ঐ মুকুল হাওলাদার ই আমার মেয়েকে অপহরণ ও গুম করেছে।
এ ব্যাপারে সাদিয়া আক্তার এর বড় বোন সাবিনা ইয়াসমিন বলেন সকাল ৭ টায় আমার বোন আমার বাসা থেকে বের হয়ে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যায়, আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি এবং অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পাইনি, আজ তিনদিন হতে চললো আমার বোনের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
আমি লোকমুখে জানতে পেরেছি মুকুল আমার বাসার আশেপাশে বিভিন্ন সময় ঘোরাঘুরি করেছে, সাধারণ ডায়েরি করে এসে আমার বাসার লকার থেকে আমার স্বর্ণালংকার ও আমার স্বামীর নগদ টাকা দেখতে পাই না সম্ভবত এগুলো আমার বোন নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আ জ ম মাসুদুজ্জামান বলেন আমরা একটা মিসিং অভিযোগ পেয়েছি আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
পিরোজপুর সংবাদদাতা:-