মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি,
শেরপুরে এবার বোরো ধান এ-র বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।আবাদি জমিতে সময়মত সারও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে এবার ধান গাছ অনেকটা বালাই মুক্ত হওয়ায় কৃষকের মুখে দেখা যাচ্ছে সুখের হাসি। গত মৌসুমের তুলনায় এবার অনেকটা ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকেরা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের কোনো ক্ষতি না হলে- এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবে প্রতিটা কৃষক।
জানা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, নকলাও শ্রীবরদীর প্রতিটা এলাকায় এবার বোরোধানের ফলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরোধান কাটা শুরু করেছে কৃষকেরা। শুষ্ক আবহাওয়া আর বৈশাখের রৌদ্রের দাবদাহ তাপমাত্রায় যেন ধান কাঁটায় মেতে উঠেছে কৃষক। ফলে ধান কাটার শুরুতেই প্রতিটা শ্রমিকের মজুরী দিতে হচ্ছে ১০০০/১২০০ টাকা। কৃষকেরা বলেন,শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে সামনে, পুরোদমে ধান কাটা শুরু হলে শ্রমিকের সংকট দেখা দিতে পারে।
কৃষি উপ পরিচালক, মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, শেরপুর জেলায়, ৮১'৭৯১ একাশি হাজার, সাতশো একানব্বই হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষ করা হয়েছে। সেই সাথে উন্নত জাতের ধানের বীজ রোপণ ও সঠিক সময়ে সার বিষ ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে এবার শেরপুরে বোরোধানের বাম্পার ফলন আশা করছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনও ক্ষতি না হলে কৃষক লাভবান হবে আশা করছি।
শ্রমিক সংকট নিয়ে কথা হলে- তিনি বলেন, আশা করি শ্রমিক সংকটের কারণে কোনো সমস্যা হবে না। শেরপুরে এবার ধান কাটা মারার জন্য রয়েছে প্রায় একশোটি হার্বেস্টার কল, এরা সবসময় এলাকাতেই কাজ করবে - এর পরও সংকট দেখা গেলে সব ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবে ( কৃষি) দপ্তর।