সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রব্বানি (২৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে (ছাত্রাবাস)।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে শনিবার(২৯ এপ্রিল) রাতে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত গোলাম রব্বানি আতাইকুলা থানাধীন রানীগ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে ও ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার কামিল(এমএ)২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। মেয়েটি একই মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সাঁথিয়া থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসায় পড়ার সুবাদে তাদের একে অপরের সাথে পরিচয় এবং ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করতো অভিযুক্ত গোলাম রব্বানি। সে ওই মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং এর ১১০ নং কক্ষে থেকে পড়ালেখা করতো। গত ২৪ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে নিয়ে এসে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
শনিবার(২৯এপ্রিল) আবারও তাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে আসে গোলাম রাব্বানি। এরপর তার এক বন্ধুকে দিয়ে ওই কক্ষের দরজার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটক করে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ ও মেয়ের অভিভাবকে খবর দেয়।
পরে চেয়ারম্যান ধর্ষক রব্বানী এবং ওই মেয়েকে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। এ বিষয়ে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সাঁথিয়া থানার ওসি(তদন্ত)কমল কুমার দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রোববার (৩০ এপ্রিল) ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।