আব্দুল মজিদ মল্লিক,জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ:
নওগাঁর সাপাহারে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ওরফে জিএম চৌধুরী নামে এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
ভুয়া ডাক্তার জিএম চৌধুরী পত্নীতলা উপজেলার শিবপুর বাজারের জামাল উদ্দীনের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকালে উপজেলার আশড়ন্দ বাজারে জননী ফার্মেসিতে ভারত থেকে আসা ডিগ্রিধারি ডাক্তার ৪শ’ টাকা ফি নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করছেন এমন খবর পান স্থানীয়রা। পরে ডাক্তারের আচার আচরণে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কথিত ডাক্তার ভারত থেকে পাস করা এমবিবিএস ও এমডি (মেডিসিন)’র সনদ দেখান। সেই সনদ দেখার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভুয়া ডাক্তার এই মর্মে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, গতকাল ডাক্তারের মাইকিং প্রচার শুনে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে চিকিৎসা করাকালীন সময়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণিত হয়। কথিত ডাক্তার জিএম চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ভুল হয়ে গেছে। তিনি ভুয়া ডাক্তার এটি স্বীকার করে বলেন, এই ধরনের ভুল আর করবো না।
ফার্মেসির মালিকের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,ফার্মেসির মালিক খলিলুর রহমান আমার স্থানীয় চেম্বারে গিয়ে আমার সঙ্গে রোগী প্রতি ১শ’ টাকা ও তার ফার্মেসিতে থাকা ওষুধ লিখতে হবে,এমন চুক্তিতে তার ফার্মেসিতে বসেছি। তবে এই বিষয় অস্বীকার করে ফার্মেসির মালিক খলিলুর রহমান বলেন, আমি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভের মাধ্যমে এই ডাক্তারের খোঁজ পাই এবং বিনা শর্তে তাকে ফার্মেসিতে বসতে দেই। ওই ডাক্তারের সনদগুলো সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে দেখানো হলে তিনি বলেন, তার সব সনদ দেশের বাইরের। তবে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সে কোনো চিকিৎসা করতে পারবেন না।পরে কতিথ ডাক্তারের নিকট বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি রেজিস্ট্রার্ড নন তা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ভুয়া ডাক্তার আইহাই ইউনিয়ন পরিষদ হেফাজতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।#
আব্দুল মজিদ মল্লিক
নওগাঁ