ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের ইসলামপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গত ৫দিন থেকে অনশন করছে এক তরুনী। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের পশ্চিম সিরাজাবাদ গ্রামে।
জানাযায, গত মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে প্রেমিক লম্পট আলীনুরের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে চাদনী নামে এক তরুনী।
প্রেমিক লম্পট আলীনুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের একই গ্রামের পশ্চিম সিরাজাবাদ এলাকার মেহার উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল অনশনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই তরুণীর পিতা জানান, আমি অসহায় হতদরিদ্র, দিনমজুরীর কাজ করে সংসার চালাই। আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেয়ে পরিবার পরিজনদের সাথে নিয়ে গত ৭ মাস আগে ঢাকা সাভারে চলে যাই কর্মের খোঁজে। এর মধ্যে ওই ছেলে আমার মেয়ের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে বিরক্ত করতে থাকে। গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকালে আমি কাজের সন্ধানে বাইরে যাই। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে জানতে পারি তার মেয়ে ঘরে নেই। পরে খোঁজখবর নিয়ে গত বুধবার সকালে জানতে পারি আমার মেয়ে বাড়ীর পাশে আলীনুরের বাড়িতে অবস্থান করছে।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা ওই তরুণী জানান, ৩ বছর ধরে আলীনুরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমের ফাঁদে ফেলে আলীনুর বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে শেরপুর তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে আমাকে ফুসলিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। গত সোমবার শেরপুর থেকে ইসলামপুরে এনে স্থানীয় সিরাজাবাদ বাজারে রেখে লম্পট আলীনুর পালিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই এলাকার লোকজনকে জানিয়ে লম্পট আলীনুরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করেছি। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই তরুনী।
গত শুক্রবার (৫মে) দুপুরে ওই এলাকায় সরিজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই তরুণী প্রেমিক আলীনুরের বাড়িতে অবস্থান করছে গত ৫দিন যাবৎ অবস্থান করছে।
প্রেমিক আলীনুরের পিতা মেহার উদ্দিন বলেন, যেহুতু আমার ছেলে ভুল করেছে। আর ওই মেয়ে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে আমি মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলে গত কয়েকদিন থেকে বাড়িতে নেই। তাকে খোঁজা হচ্ছে। খোঁজে পেলেই এর একটা বিধি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পলবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল বলেন, ওই তরুনী ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছে বিষয়টি আমি শুনেছি। ছেলের বাবাকে বলা হয়েছে তারা আমার কাছে দুই দিনের সময় নিয়েছিলো। বিষয়টি যতদ্রæত সম্ভব সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের লোকজনকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার এসআই মাহমুদুল হাসান মোরল জানান, বিষয়টি তদন্ত করেছি। ঘটনাটি সত্য। পারিবারিকভাবে বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন মিমাংসা করবে বলে জানান।
সুমন খন্দকার
ইসলামপুর,জামালপুর
৬/৫/২৩