মোঃজুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর প্রতিনিধি :
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের খুনুয়া চরপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের মৃত নুর ইসলাম ওরফে হলু শেখের ছেলে ইজিবাইক চালক উজ্জল মিয়া (৪২) হত্যাকান্ডের মূলহোতা ও হত্যাকারী সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. শামীমসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলেন- সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের দুছুরা ছনকান্দা (কালাম বাজার) গ্রামের মো. মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. আবুল হোসেন (২৭), জামালপুর জেলার সদর উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. আজাহার আলীর ছেলে মো. রুবেল হোসেন (৩৫), একই উপজেলার কোচনধরা গ্রামের মৃত জিন্নাত আলীর ছেলে মো. সুলতান মিয়া (৪৫) ও হরিপুর গ্রামের আঃ করিমের ছেলে মো. মঞ্জুরুল হক (৩০)।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক মো. উজ্জল মিয়াকে হত্যা পরবর্তী তার ইজিবাইকের ব্যাটারীসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিক্রি করার পর তা উদ্ধার ও মূল হত্যাকারীসহ অপরাধীদের গ্রেফতারের বিষয়ে ৮ মে সোমবার শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গত ২৮ এপ্রিল সকালে ইজিবাইক চালক ৬ সন্তানের জনক দরিদ্র মো. উজ্জল মিয়া জীবিকার সন্ধানে তার ইজিবাইকটি নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।
এরপর সে আর বাড়ী ফিরেনি। পরে ২৯ এপ্রিল রাত ১টার দিকে উজ্জল মিয়া তার ছোট ভাই মো. সুজন মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানায় সে যাত্রী নিয়ে ঘুঘুরাকান্দি এলাকায় আছে। এদিকে যাত্রী বেশি ইজিবাইক ছিনতাইকারীরা রাতের কোন এক সময়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই এবং তার লাশ খুনুয়া পশ্চিম পাড়ার জনৈক দোছ মাহমুদের ধান খেতের পার্শ্বে ফেলে রেখে যায়।
এদিকে পরিবারের লোকজন উজ্জল মিয়া বাড়ী ফিরে না যাওয়ায় স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ওই স্থানে গিয়ে তার মৃতদেহ সনাক্ত করে।
এঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ওইদিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৬৪, তারিখ-২৯/৪/২০২৩ইং।
পরবর্তীতে এঘটনায় র্যাব-১৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার এম.এম. সবুজ রানা সঙ্গীয় ফোর্সসহ ৭ মে দুপুর ২টার দিকে ঢাকা জেলার ধামরাই কলেজ রোড এলাকা থেকে প্রথমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ও ইজিবাইক ছিনতাইয়ের মূল আসামী মো. শামীমকে গ্রেফতার করা হয়,পরে সে ইজিবাইক চালক উজ্জল মিয়াকে হত্যার স্বীকারোক্তি এবং ছিনতাইকৃত ইজিবাইক বিক্রিয়ের কথা ও ক্রয়কারীদের নাম, ঠিকানার বর্ণনা দেন।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযানিক দল জামালপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ওইদিন অভিযান চালিয়ে পর্যায়ক্রমে সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই ও ক্রয়বিক্রয় দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয়। এসময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।