শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
নড়াইল ইসলামিয়া ফাজিল(কমপ্লেক্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা আশরাফের বিরুদ্ধে নূরানী শাখার নামে রমরমা কিন্ডারগার্ডেন ব্যবসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নড়াইল ইসলামিয়া ফাজিল(কমপ্লেক্স) মাদ্রাসায় ইবতেদায়ীর (প্রাইমারী)প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে স্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসে ১৫০০/টাকা নিয়ে খোলা হয়েছে কিন্ডারগার্ডেন ব্যবসা।
যার নাম দেওয়া হয়েছে বেসরকারি নূরানী শাখা।অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষের দুই খালাতো ভাইসহ নিকট আত্নীয় স্বজন দিয়ে মাদ্রাসা চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষেই চলছে বেসরকারি নূরাণী শাখা।
দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা রয়ে গেছে ইবতেদায়ী শাখায়।বৈষম্যহীন সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে ইবতেদায়ী শাখার মধ্যে চলছে নূরানী নামে কিন্ডারগার্ডেন ব্যবসা।
একই ক্যাম্পাসে রয়েছে হেফজ বিভাগ।
মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে ফাজিল শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত শিক্ষক কর্মচারি এমপিও ভুক্ত রয়েছে। মাদ্রাসাটিতে প্রায় অর্ধশত শিক্ষক কর্মচারি থাকলেও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী রয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন।একই শিক্ষার্থীকে হেফজ, নূরানী, ইবতেদায়ীতে দেখানো হয়।আলিম,ফাজিলে কোন ক্লাসই হয় না শিক্ষার্থী আছে শুধু কাগজে কলমে।
অভিবাবকেরা বলেন,মাদ্রাসার মধ্যে একই ক্লাসের ছাত্রদেরকে ধনী-গরীব দুই ভাগ করে ফেলা হয়েছে।তাদের আলাদাভাবে আলাদা কায়দায় পড়ানো হয়।ফলে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের বৈষম্য ও অবিচার করা হচ্ছে।
এ ছাড়া কয়েক দিন আগে অধ্যক্ষের আত্নীয় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেফজখানার এক ছাত্রকে অমানবিক শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগে জেল খাটতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিবাবকেরা।
নাম প্রকাশ না করে শিক্ষক-কর্মচারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,অধ্যক্ষের সকল ধ্যান-জ্ঞান বেসরকারি নূরানী শাখার(ব্যবসা ) দিকে।
মাদ্রাসার মূল শাখার দিকে নজর দেবার সময় নেই।ফলে মাদ্রাসার কলেবর দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াইল ইসলামিয়া ফাজিল(কমপ্লেক্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা আশরাফের কাছে জানতে চাইলে,নূরানী শাখায় প্রতি মাসে ১৫০০/টাকা নেওয়ার হয় জানেন না বলে তিনি জানান।মাদ্রাসার ভিতরে বেসরকারি নূরানী শাখার নামে কিন্ডারগার্ডেন চালানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হায়দার আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,আমি আগামী কাল ঐ মাদ্রাসায় যাব এবং এ বিষয়ে খোজ খবর নেব।
Leave a Reply