সাব্বির আহমেদ
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শ্রবণ প্রতিবন্ধী (২৮) স্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পুইবিল গ্রামের শামছুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
এ বিষয়ে ওই নারী ও তার অসহায় মা ভাঙ্গুড়া থানায় হাজির হয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে শামছুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। শামছুল ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে এবং তিন সন্তানের জনক। তবে পুলিশ বলছেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগ ও ভিক্টিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পুইবিল এলাকার দরিদ্র সোহরাব হোসেন এর মেয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী দুই সন্তানের জননী কয়েক বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। তার পিতা হতদরিদ্র হওয়ার ফলে বাড়িতে অবস্থান করে প্রতিবন্ধী মেয়ে বৃদ্ধ পিতা মাতার কাজে সহায়তা করার লক্ষ্যে মাঠে ছাগল চড়ানো ও গরুর ঘাস কাটার কাজ করেন। কখনো কখনো একাই তিনি মাঠে ছাগল নিয়ে অবস্থান করেন।
এই অবস্থার মধ্যে পুইবিল গ্রামের শামছুল হকের কুনজর পরে প্রতিবদ্ধী হতদরিদ্র সোবাহানের মেয়ের উপর। প্রতিবন্ধী ওই মেয়ের ছাগল নিয়ে মাঠে যাওয়া আসা ও নদীতে গোসল করার সময়সহ বিভিন্ন সময় স্বামী পরিত্যক্ত মেয়েকে শামছুল উত্যক্ত করতে থাকে। ওই ঘটনার ধারাবাহিকতায় একাধিক বার শামছুল প্রতিবন্ধী নারীকে শ্লীলতাহানি করে। বিষয়টি নিয়ে ওই প্রতিবন্ধী নারী তার পরিবারের লোকজনসহ একাধিক ব্যক্তিকে বললেও প্রথম দিকে অনেকেই অভিযুক্ত শামছুলকে নিষেধ করেন।
কিন্তু শামছুল কারো কথায় কর্ণপাত করেননি। ঘটনার দিন প্রতিবন্ধী নারী ছাগল নিয়ে মাঠে গেলে শামছুল সুযোগ বুঝে ঘাসের জমির আড়ালে তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে শামছুল পালিয়ে যায়। পরে বাড়িতে এসে ওই শ্রবণ প্রতিবন্ধী তার মাকে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলেন। স্থানীয়ভাবে কোন ধরণের বিচার না পেয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ভাঙ্গুড়ায় থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন।
ঘটনার বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবদ্ধীর মা বৃদ্ধা আছিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা অসহায় মানুষ বলে কি মাঠে ঘাটে কাজ করেও খেতে পারব না। শামছুল এভাবে আমাদের মানসম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে এর কি সুবিচার পাব না।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শামছুল বলেন, প্রতিবেশী সম্পর্কে ওই প্রতিবন্ধী নারী তার নাতনী হয় । তাই তার সাথে একটু আধটু ইয়ারকি করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।