ডেস্ক নিউজঃ
মোহম্মাদ আলী ও তার কথিত স্ত্রী সুরাইয়ার প্রতারনার চিত্র তুলে ধরে ঢাকা প্রেসক্লাবের স্থায়ী কমিটির ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন
গত কয়েক মাস থেকে প্রায় ৩৭ বৎসরের ঐতিয্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন ঢাকা প্রেস ক্লাবের বিরুদ্ধে একদল চক্রন্তকারী
একদম ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন ভাবে অপ-প্রচার করে ক্লাবের সুনাম কে ক্ষুন্ন ও সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলছে । এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল ও সাধারন সম্পাদকসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। চক্রান্তকারী চক্রের মুল হোতা প্রতারক মোহম্মাদ আলী ও তার কথিত
স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার সেলিনা দির্ঘদিন থেকে ঢাকা প্রেস ক্লাবের দুই বারের সফল সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল ও দুই বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে মনগড়া তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন ভাবে প্রচার করে আসছে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ ঘটনার আমরা ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। প্রতারক চক্রের মুল হোতা মোহম্মাদ আলী বিভিন্ন অফিস, সরকারী দপ্তরে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। মোহম্মাদ আলী ঢাকা প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিল না। জীবনে তাকে কখনো কেউ দেখেওনি,হঠাৎ আসলো ভাগুড়া জামাই পরিচয় দিয়ে।
তার প্রতারনার ক্ষুদ্র চিত্র গত১৮ইং ফেব্রয়ারি একদল বন্ধু বান্ধব নিয়ে গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া গিয়ে ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মাজারে ফুল দেয়। এবং বিটিভির মত জাতীয় টেলিভিশনে এই খবর প্রচার করেন। এটা মিডিয়ার সাথে ও প্রতারনা করছে।
এর পর ২২ই ফেব্রয়ারী ২০২৩ মহামান্য রাস্টপতি কে ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয়ে ফুল দিয়ে রাস্ট্রের সাথে প্রতারনা করেছে। আবার ৫ই মার্চ ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
বিচারপতি জনাব মোঃ নিজামুল হক নাসিম কে সভাপতি পরিচয় দিয়ে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সাংবাদিক সমাজ কে ছোট করেছে। সেটাও মহনা টিভিতে প্রচার করে। প্রতারনার তো একটা সীমা থাকা উচিৎ। প্রশ্ন হলো সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কি বাজারে পাওয়া যায়? দোকান এ বিক্রি হয়?,ফেরিওয়ালা বিক্রি করে? আজব কাহিনী যাহা ইতিহাস কে বদল করে দিয়েছে এই দুই প্রতারক, মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, ডাক্তার, এডভোকেট, প্রবাশী কালো বাজারী এম এল এম ব্যবসায়ী, এদের কে ঢাকা প্রেস ক্লাব এর কার্ড পরাইয়া দিতে দেখা যায়, পরবর্তী নিউজ গুলোতে সকল তর্থ্য প্রকাশ করা হবে। প্রতারনা তাদের নেশা হয়ে গেছে ভূয়া পরিচয় দেওয়া এই মোহাম্মদ আলী কে? কি তার পরিচয় জানার জন্য অপেক্ষায় থাকুন।
বর্তমান ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন যিনি সাংবাদিক দের নয়নমণি, অসহায় সাংবাদিক দের কলিজার টুকরো, যাকে দিন রাত যে কোন অবস্থানে সাংবাদিক দের বিপদে পাওয়া যায়। তার ছবি দিয়ে ছবি উপরে লেখে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যাহা চরম মানহানিকর। ফেইসবুক কে ফেইক আইডি খুলে খুলে সামাজিক ভাবে মানহানিকর মিথ্যা অপবাদ অপপ্রচার করে আসছেন, বহু স্কিনসট জমা হয়েছে। তাদেরকে বার বার নিষেধ করার পর ও তারা আরোও বেশী বেশী ফেইক
আইডি দিয়ে লেখা লেখি করে এবং এর পর ও তারা খেন্ত হয়নি ভয়েস রেকর্ড করে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে । এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানায়, প্রতারক মোহম্মাদ আলী ও তার কথিত স্ত্রী আমার নামে সামাজিক ভাবে ভুল তথ্য প্রচার করছে আমি তাদের শাস্তি দাবি করি, এমন কি তারা ভয়েস কল রেকর্ড করে মৃত্যুর হুমকি ও দিয়ে যাচ্ছে। জানা যায় প্রতারক মোহম্মাদ আলী আদম ব্যাপারী বহু বিবাহের নায়ক, বিভিন্ন ব্যাংক, ইয়ারপোট সরকারী চাকরি দিবে বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পলাতক। তারা দুই জনেই পলাতক তাদের নির্দিষ্ট কোন বাসা কোন ঠিকানা নেই তিন মাসের বেশি কোন বাসায় তারা অবস্থান করে না। কিছুদিন পর পরই মোবাইল নাম্বার বদল করে। মোহাম্মদ আলীর নামে অগনিত মামলা রয়েছে বরিশাল, গাজীপুর, ঢাকা সহ প্রত্যেকটাই প্রতারনার মামলা, জানা যায় তার আগের স্ত্রীর, জন্মদাতা মা,আপন বোন, সহ এলাকার বহু লোকে মামলা দিয়েছে। সে বহু বৎসর থেকে বরিশাল তার এলাকায় যেতে পারে না। ঢাকাতে পালিয়ে পালিয়ে থাকে কথিত স্ত্রী সুরাইয়া কে নিয়ে। বিভিন্ন থানায় জিডি, মামলা থাকার কারণে ঢাকা প্রেসক্লাব এর ভূয়া ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। এই প্রতারক দলকে শাস্তির আওতায় না আনলে ভালো ভালো কিছু মানুষ প্রতারনার শিকার হতেই থাকবে। মোহাম্মদ আলী ও তার কথিত স্ত্রী সুরাইয়া অহেতুক ভাবে ঢাকা প্রেস ক্লাবের ও কর্মকর্তাদের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ঢাকা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকগন অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply