পিরোজপুর প্রতিনিধি:-
পিরোজপুর,নার্সিং ইনস্টিটিউট,এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক বাইজিদ এর বিরুদ্ধে হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্রীদের এবং শিক্ষকদের কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং বিভিন্ন সময় হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় ছাত্র/ছাত্রীরা গত এপ্রিল মাসে ১৩ তারিখ সিভিল সার্জন, পিরোজপুরের কাছে ছাত্র/ছাত্রীদের স্বাক্ষর করা একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ছাত্র/ছাত্রীরা ।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইজিদ গত ১১.০৪.২০২৩ ইং তাং গভীর রাতে ছাত্রী হোস্টেলে প্রবেশ করে ছাত্রীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, হেনস্থা করে, এবং ছাত্রীদের কাগজ পত্র আটকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিগত দিনগুলোতে ছাত্রী হোস্টেলে মেয়েদের রুমে বিনানুমতিতে প্রবেশ করে রুম তল্লাশি করে।
তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানে হাউজকিপার পদে কর্মরত থাকার কারনে তার স্ত্রীর কাজগুলোও তিনি করেন।
স্বামী স্ত্রী মিলে ছাত্রীদেরকে চরম আতঙ্কের মধ্যে রাখেন। হোস্টেলে সমস্যা হলে হাউজকিপার কিংবা টিচারদের কথা বলার কথা কিন্তু এখানে বাইজিদই সর্বেসর্বা। তার কথাতে ই সব চলে। তার কথা না শুনলে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এবং হোস্টেল থেকে বের করার হুমকি দেন। বাদ যায়না শিক্ষকরাও। ছাত্রীদের গায়ে হাত তোলারও হুমকি দেন। রেজিস্টেশন বাতিল করার হুমকি দেন সমসময়। ছাত্র/ছাত্রীদের সামনে টিচারদের গালিগালাজ করে। তিনি সরকারি বাসায় বসবাস করেন তার মা বাবা ও আত্মীয়-স্বজন সহ, ছাত্রীদের সাথে বাইজিদের মা ও খারাপ আচরন করে। এ বিষয় ছাত্র/ছাত্রীরা প্রতিষ্ঠান প্রধান নার্সিং ইনচার্জ মিনতি রানী মৈত্রকে বিচার দিলে কখন কোন কর্নপাত করেননি, তিনি এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন লোকবল সংকটের কারণে, অনেক সময় একজনকে দিয়ে দুই তিনটা কাজ করাতে হয় এক্ষেত্রে কোন মিস আন্ডারেস্টিং হতে পারে,
ছাত্রীদের অভিযোগ বড় ম্যাডাম উল্টো ছাত্রীদের গালমন্দ করে রুম থেকে বের করে দিতেন।
যার কারনে বাইজিদ আরো বেশি অত্যাচার করত, আর বলতে আমার নামে বিচার দিয়ে তোরা কিছুই করতে পারবিনা, আমার ক্ষমতা সম্পর্কে তোদের ধারনা নাই। আরো জানা যায় ২০১৫ সালে বাইজিদ এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে। তার পর থেকেই টিচার এবং ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরন করে আসছে।২০১৯ সালে ছাত্রীদেরকে অকথ্য ভাষায় মা বাবা তুলে গালিগালাজ করলে সকল ছাত্রীরা মিলে নার্সিং ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন, তৎকালীন একজন টিচার প্রতিবাদ করলে বাইজিদ তাকেও অশ্লীল ভাষায় ছাত্রীদের সামনে গালিগালাজ করে তারপর সকল টিচার মিলে তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ ফারুক আলম এর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তখন স্বাচিব এবং বিএমএ,র সাধারন সম্পাদক ও তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ ফারুক আলম ,নার্সিং ইনচার্জ মিনতি রানী মৈত্র সহ বিচারে বসেন, তখন বাইজিদ একটি লিখিত দেন যে তিনি আর কোন দিন কারো সাথে খারাপ আচরন করবেন না। কিন্তু কিছুদিন পরই আবার শুরু করেন একই রকম আচরন। তার আচরনে অতিষ্ঠ ছাত্র/ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা। কেউ কিছু বললে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। অনেক সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সাথে খারাপ আচরন করছে তিনি ।
উল্লেখ্য যে, সরকারি কর্মচারীরা তিনবছরের বেশি একস্থানে চাকরি করতে পারেনা, কিন্তু বাইজেদ ২০১৫ সাল থেকে এখনও আছেন একই জায়গায় বহাল তবিয়াতে। কর্মচারীরা দীর্ঘ্যদিন একজায়গায় চাকরি করলে কাউকে পরোয়া করেনা। ছাত্রীরা আরো অভিযোগ করেন তাদের ঠিকমত দেওয়া হয়না তাদের বৃত্তি(স্টাইপেন্ড)। এই স্টাইপেন্ড দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীরা চলে তাও দেওয়া হয়না ঠিকমত যার কারনে ছাত্র/ছাত্রীরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন আমরা যে আপনাদের সাথে কথা বলছি এটা যদি বাইজিদ জানে তাহলে আমাদের এখানে থাকাটা কস্টকর হবে.দয়া করে আমাদের নাম লিখবেন না। ছাত্র/ছাত্রীরা নার্সিং ইনচার্জ মিনতি রানী মৈত্র এর কাছে বললেও তিনি কোন সমাধান করেননি। কর্মচারীরা তাদের তাদের ইচ্ছেমত অফিস করেন যেন দেখার নেই কেউ। তবে অনেকেই এজন্য নার্সিং ইনচার্জ মিনতি রানী মৈত্রকে দায়ী করেন, কারন প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে তার অধিনস্থ কর্মচারীদেরকে তিনি কখনও কিছু বলেননি। ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন আমরা ডিজিতে এবং কাউন্সিল বরাবর আবেদন করছি আমরা বার বার নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি আমরা রাস্তায় নামতে চাইনা, আমাদের কে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ বিষয় দ্রুত সমাধান চান ছাত্র/ছাত্রীরা।
ছাত্র/ছাত্রীদের দাবী করেন প্রতিমাসের স্টাইপেন্ড পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রদান করতে হবে।স্বামী/স্ত্রী মুক্ত প্রতিষ্ঠান চাই ৩. বাইজেদ এর অত্যাচার থেকে মুক্তি চাই। বাইজিদ মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। বাইজিদ যারা আশ্রায় দিয়েছে তাদের শাস্থি চাই। আমরা বাইজেদর অপসারন চাই।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন মুঠোফোন এই প্রতিবেদককে বলেন একটা অভিযোগ ছাত্রীদের কাছ থেকে পেয়েছি বিষয়টা তদন্ত চলছে পরে জানানো হবে।
পিরোজপুর সংবাদদাতা;-